Site icon Jamuna Television

প্রণোদনা নিতে দেশের অর্থ বিদেশ ঘুরে আসছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

হুন্ডির মাধ্যমে শুধু প্রবাসী আয় দেশে আসছে না, পাচারও হচ্ছে। সরকারি প্রণোদানা নিতে দেশের টাকা বিদেশ ঘুরে দেশে আসছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বলেন, সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যাংকের প্রতি নেতিবাচক ধারণার কারণে প্রবাসীরা অবৈধ পথে অর্থ পাঠাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

বুধবার (৯ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘বৈধ পথে সহজে নিরাপদে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, করোনার পর থেকেই নেতিবাচক ধারায় প্রবাসী আয়। টানা দুই মাস ধরে বৈধ পথে কমছে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ। ইআরএফ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার মূল কারণ হুন্ডি। বৈধ পথে যে রেমিট্যান্স আসে, তার প্রায় ৪৯ ভাগ যায় অবৈধ পথে। হুন্ডির তৎপরতা বন্ধ হলে বছরে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় বাড়বে বলে মনে করেন আলোচকরা। এ জন্য বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার বলেও মনে করেন তারা।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রবাসী আয়ের ওপর ঢালাওভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়নি। অনেকেই এর সুযোগ নিচ্ছে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে দূতাবাস ও ব্যাংক কমকর্তাদের আচরণ পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তিনি।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, লেনদেনে ভারসাম্য আনতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে জোর দিতে হবে। আমদানি কমিয়ে রিজার্ভ বৃদ্ধি করা যাবে না, রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়াতে হবে। একইসাথে কালো টাকার বাজার কমিয়ে আনা এবং টাকা পাচার বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদরা।

/এমএন

Exit mobile version