রসিক নির্বাচন: ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সকল প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ

|

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

আগামী ২৭ ডিসেম্বর ৩য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সকল ধরনের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। এছাড়াও সকল প্রকার মিছিল মিটিং এবং শোডাউনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য আইনানুগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সকল ধরনের ব্যানার, পোস্টার ফেস্টুন বিলবোর্ড সহ প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী যদি নিজে থেকে এসব সামগ্রী অপসারণ না করেন তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।

এ রিটারিং কর্মকর্তা আরও জানান, ইভিএম এ ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম খুব দ্রুতই শুরু হবে। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

গাইবান্ধার মতো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এগুলো নির্বাচন কমিশন জানে। কেউ যেনো কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে; সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট কেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।

এ সময় সেখানে রংপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জামাতে ইসলামির মাহবুবুর রহমান বেলাল নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও আওয়ামী লীগের হাফ ডজন প্রার্থী মনোনয়নের জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, তেত্রিশটি ওয়ার্ডে এবং ১১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়তে আড়াই শতাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী টানানোসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply