খেরসন থেকে পিছু হটায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মস্কোর দুর্বলতা: বাইডেন

|

মঙ্গলবার রাতের সংবাদ সম্মেলনে হাস্যোজ্জ্বল বাইডেন।

খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারকে মস্কোর দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দাবি করেন, রুশ বাহিনীর পিছু হটাই প্রমাণ করে, আসলেই চাপে আছে তারা। তবে পুতিন সেনারা সরে যাওয়ায় এখনই উৎফুল্ল না হয়ে সতর্কতার পথে হাঁটতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের যে চার অঞ্চলকে রাশিয়া নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা দেয়, তার অন্যতম খেরসন। ইউক্রেনে আগ্রাসনের শুরুর দিকেই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটির দখল নেয় রাশিয়া।

তবে যেকোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাওয়া সেই খেরসন থেকেই হঠাৎ সেনা প্রত্যাহারের খবর দিলো ক্রেমলিন। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (৯ নভেম্বর) যৌথ টাস্কফোর্সের কমান্ডারের সাথে জরুরি আলোচনায় বসেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরপরই এলো এমন ঘোষণা। মস্কোর দাবি, সেনাদের জীবন রক্ষায় নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।

রুশ কমান্ডার ইন চিফ সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, আমি খুব ভালোমতোই জানি যে এটা কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের সেনাদের জীবন রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাঁটিগুলোয় প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। বেসামরিকদের জীবনও হুমকিতে। শত্রুপক্ষ বাছবিচার না করে গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে।

এদিকে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধেই পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে পুতিন বাহিনী- এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তবে রাশিয়ার ঘোষণাকে এখনও সন্দেহের চোখে দেখছেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, শত্রুপক্ষ আমাদের কখনও উপহার দেবে না। জয় করতে হবে। আজ আনন্দের যথেষ্ট উপলক্ষ ছিল। তবে আবেগ সংযত করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি আমরা নিতে চাই না। যখন চূড়ান্ত ফলাফল আসবে সবাই দেখবে।

মস্কো থেকে এরকম সিদ্ধান্ত আসতে পারে এমনটা আগেই ধারণা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের- দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মজা পেলাম। এটা ঘোষণা দেয়ার জন্য তারা আমাদের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। অবশ্য আমরা এটা আগেই জানতাম। প্রমাণ হয়ে গেলো যে, তারা আসলেই চূড়ান্ত সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, শীতের আগে সবাই তাদের অবস্থান ঝালাই করবে।

প্রসঙ্গত, দখলকৃত ক্রাইমিয়ার সাথে স্থলপথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রুট খেরসন। তাই রাশিয়া ও ইউক্রেন দু’দেশের জন্যই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলটি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply