মেটার এক সিদ্ধান্তে চাকরি হারাচ্ছেন ১১ হাজার কর্মী। আর তাতে অন্ধকারে জাকারবার্গের মেটাভার্স স্বপ্নের ভবিষ্যত। বিশ্ব অর্থনীতির চলমান অস্থিরতার কারণে বিপাকে মেটাসহ অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই। তার প্রভাবে গণ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, একের পর এক প্রতিষ্ঠানে গণছাঁটাই প্রযুক্তিখাতে দুঃসময় শুরুর ইঙ্গিত। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির শঙ্কা তাদের। খবর রয়টার্সের।
মাইক্রোসফট, টুইটারের পর গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের তালিকায় যুক্ত হলো আরও একটি টেক জায়ান্ট মেটা। এতে স্পষ্ট হচ্ছে কতটা দুঃসময়ে প্রযুক্তি খাত।
করোনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে ধস নামালেও আশীর্বাদ হয়ে উঠেছিল প্রযুক্তিখাত। তাদের সে সাফল্যে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। লাগামহীন মূল্যস্ফীতি আর টালমাটাল অর্থনীতির প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। আর সে ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে কর্মীদের, শিকার হচ্ছেন গণছাঁটাইয়ের।
বিশ্বজুড়ে মেটায় কর্মরত ৮৭ হাজার কর্মী। এরমধ্যে ছাঁটাই করা হচ্ছে ১১ হাজার জনকেই। অর্থাৎ তাদের ১৩ শতাংশ কর্মী একবারে চাকরি হারাচ্ছেন। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর এটিই প্রতিষ্ঠানটিতে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের ঘটনা। এছাড়া বন্ধ রয়েছে তাদের নতুন নিয়োগও।
ওয়েডবাস সিকিউরিটিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যানিয়েল ইভেস বলেন, ফেসবুক এখন চরম দুঃসময় পার করছে। এরইমধ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, বাধ্য হয়েছে খরচ কমাতে। কাজেই তাদের মেটাভার্সের পরিকল্পনা এই মুহূর্তে হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। এখন দেখার বিষয় জাকারবার্গ বিষয়টি কীভাবে সামলান।
তিনি আরও বলেন, এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া সিলিকন ভ্যালিজুড়েই বাজে কিছু শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। মন্দা অব্যাহত থাকলে সামনে আরও অন্ধকার দিন আসবে। এটা সেই অন্ধকার মেঘ যা প্রযুক্তি খাতে আঘাত হানতে পারে।
টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তার কারণে বিজ্ঞাপনের বাজারে ফেসবুকের অবস্থান এখন নড়বড়ে। আর তাতেই, আশঙ্কাজনক হারে কমেছে মেটার আয়। এদিকে, মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যয়ও বেড়েছে বহুগুণ। তাদের মতো বিপাকে অনেক প্রতিষ্ঠানই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্দিনের কেবল শুরু। প্রযুক্তি খাতে সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, নানামুখী চ্যালেঞ্জের কারণে জাকারবার্গ মেটাভার্স বা পরাবাস্তব জগত বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখছেন সেটা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
এটিএম/
Leave a reply