রুশ শেলে বিধ্বস্ত ভবনে ইউক্রেনের জিমন্যাস্ট আঁকলেন ব্যাঙ্কসি

|

ইউক্রেনে ব্যাঙ্কসির গ্রাফিতি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত গ্রাফিতি শিল্পী ব্যাঙ্কসি তার নতুন শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে। রুশ শেলে ধসে যাওয়া ভবনে ইউক্রেনের জিমন্যাস্টের গ্রাফিতি এঁকেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে ব্যাংকসি দেখিয়েছেন, ইউক্রেনের বোরোদিয়াঙ্কার ধ্বংসস্তুপের মাঝে হ্যান্ডস্ট্যান্ড (জিমন্যাস্টিক্সের একটি কসরত) করছেন এক ইউক্রেনিয়ান জিমন্যাস্ট। খবর বিবিসির।

এই গ্রাফিতি শিল্পী রুশ গোলার ধ্বংসাবশেষে জিমন্যাস্টের ম্যুরালের তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। একটির ক্যাপশনে শুধুমাত্র লেখা ‘বোরোদিয়াঙ্কা, ইউক্রেন’। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যে বোরোদিয়াঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শীর্ষে। রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরটি যুদ্ধের প্রথম দিকেই রুশ সৈন্যদের দখলে চলে যায়। এরপর ইউক্রেন অঞ্চলটি স্বাধীন করে গত এপ্রিলে।

ছবি: সংগৃহীত

অন্য আরেকটি গ্রাফিতিতে দেখা যাচ্ছে, এক শিশুর কাছে জুডোতে হেরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সদৃশ এক প্রাপ্তবয়স্ক লোক। পুতিন নিজে জুডোতে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী এবং মার্শাল আর্টের প্রশংসাও তিনি প্রায়ই করে থাকেন। তবে সেই গ্রাফিতি ব্যাঙ্কসির কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাঙ্কসির আঁকা তৃতীয় গ্রাফিতিতে দেখা যাচ্ছে একজন ছন্দময় নারী জিমন্যাস্টকে; যিনি ঘাড়ে ব্রেস পরে ইরপিনের একটি ভবনের পাশে এক ফাঁকা গর্তের ওপর ফিতা দিয়ে পারফর্ম করছেন। কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থিত ইরপিন শহর রুশ সৈন্যরা দখল করেছিল। শত শত বেসামরিক ইউক্রেনীয় গণহত্যার শিকার হন এখানে।

ব্যাঙ্কসির গ্রাফিতি।

চতুর্থ গ্রাফিতিতে পাওয়া যায় ব্যাঙ্কসির ট্রেডমার্ক স্প্রে পেইন্টিং। কনক্রিটের কিছু ব্লকের সামনে রাখা ছিল ট্যাংকের ধাতব ট্র্যাপ। এমনভাবে কংক্রিটের গায়ে দুটি শিশুকে স্প্রে দিয়ে আঁকা হয়েছে যে দেখে মনে হতে পারে, ওরা খেলছে।

বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বেনামী শিল্পী ব্যাঙ্কসি। ৯০’এর দশকের গোড়ার দিকে ব্রিস্টলের চারপাশে স্টেনসিল্ড ডিজাইনের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তার কাজগুলো উন্মোচিত হয়েছে প্যারিস, নিউইয়র্ক, উটাহের পার্ক সিটি, বেথেলহেমসহ বিশ্বের নানাপ্রান্তে। এই ‘গেরিলা স্ট্রিট আর্টিস্ট’র ভক্তের তালিকায় আছেন বিশ্বখ্যাত সেলিব্রিটিরাও।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply