ফাইনালে কি প্রভাব ফেলবে মেলবোর্নের অনিশ্চিত আবহাওয়া?

|

ছবি: সংগৃহীত

১৯৯২ সালে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপের সময় ব্যান্ড ক্রাউডেড হাউস রিলিজ করে তাদের গান ‘ফোর সিজনস ইন ওয়ান ডে’। মেলবোর্নের অনিশ্চিত আবহাওয়াকে সূচিত করেই বুঝি লেখা হয়েছিল সেই গান! তার একটি লাইন ছিল, ‘ইট ডাজন্ট পে টু মেইক প্রেডিকশনস’ (আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়ার জন্য কোনো টাকা দেয় হয় না)।

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান আবারও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে দাঁড়িয়ে আছে ফাইনালের অপেক্ষায়। আবারও আলোচনায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস। প্রথমে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে শতভাগ বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও সবশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, বৃষ্টির শঙ্কা নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে।

ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, আয়ারল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টি আইনে হেরে যাওয়ার ঘটনাকেও বেশ আগের বলে মনে হচ্ছে। ফাইনাল পর্যন্ত আসার পথে অনেক কিছুই শিখেছি। মেলবোর্নের আবহাওয়া এই আসরের ঘটনাপ্রবাহে প্রভাব ফেলেছে। আয়ারাল্যান্ড ম্যাচেও কিছু জায়গায় আমাদের ঘাটতি ছিল। এর ফলাফল হিসেবে আমরা আসরেজুড়ে উন্নতি করতে পেরেছি।

মেলবোর্ন নিয়ে পাকিস্তানেরও আছে অভিজ্ঞতা। এমসিজিতে ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াইয়ের আগেও বলা হয়েছিল, বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারে পুরো ম্যাচ। তবে, এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি সেদিন। শুধু তাই নয়, পঞ্চাশ বছরের মধ্যে শুষ্কতম আবহাওয়ার রেকর্ড করেছিল সেদিন মেলবোর্ন। আর ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখেছিল, এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক লড়াই। তবে শেষ আট বলের লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পরও ফাইনালে এসেছে পাকিস্তান।

দলটির অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, আমরা আবহাওয়ার খোঁজ নিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ মনোযোগ খেলাতেই আছে। পুরো ম্যাচ খেলা হবে, সেভাবেই ভাবছি। এটা ফাইনাল। তাই, ম্যাচের দৈর্ঘ্য কতটুকু হবে, সে হিসেব না করেই পুরো ম্যাচ খেলার দিকেই তাকিয়ে আছি।

পয়েন্ট, রান রেটের হিসেব না করে খেলে যাওয়ার কৌশলেই সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডও একদিক দিয়ে আছে সুবিধাজনক জায়গায়। চলতি আসরে এরই মধ্যে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাটলারদের। তাছাড়া, বিশ্বকাপের আগে ক্যানবেরায় অজিদের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচেও ছিল বৃষ্টির বাগড়া। ১০ ওভারে নেমে আসা সেই ম্যাচে রান তাড়ার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেছে হেলস-স্টোকসদের।

তবে ক্রাউডেড হাউস‘র ফ্রন্টম্যান নিল ফিন লিখেছিলেন, ‘স্বস্তি থেকে কষ্ট কেবল এক ধাপ দূরে, যেন চার ঋতুর দেখা মিলবে একই দিনে…’। মেলবোর্নের একই দিনটা কার জন্য নিয়ে আসবে স্বস্তি আর কার জন্য কষ্ট, সে অপেক্ষায় ক্রিকেটবিশ্ব।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply