খেরসনে এখনো বহাল রুশ শাসন, যেকোনো মুহূর্তে সামরিক অভিযান: পুতিন

|

খেরসন ঘিরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যেন শুরু হয়েছে মল্লযুদ্ধ। অঞ্চলটি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পরই খেরসনের পুনরুদ্ধারের দাবি করে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জানান, খেরসনে আবারও ইউক্রেনের আধিপত্য স্থাপিত হয়েছে। তবে এবার পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টও। সতর্ক করে পুতিন বলেছেন, এখনো খেরসনে পুতিন প্রশাসনের আধিপত্য বহাল আছে। যেকোনো মুহূর্তে সামরিক অভিযান চালাতেও প্রস্তুত আমরা। খবর সিএনবিসির।

খেরসন এখন ইউক্রেনের আওতায় উল্লেখ করে আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান যুরোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ বলেন, খেরসনে সামরিক প্রশাসন দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীও পালন করছে নিজ-নিজ কর্তব্য। জরুরি বিভাগের নেতৃত্বে চলছে বোমা অপসারণ কার্যক্রম। শিগগিরই শহরগুলোয় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

খেরসন পুনরুদ্ধারের খবরে জয়োল্লাসে মেতেছে অঞ্চলটির বাসিন্দা, বন্দর নগরী ওডেসা আর রাজধানী কিয়েভ। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তারকে রুশ বাহিনীর পরোক্ষ ব্যর্থতা হিসেবেও দেখছেন অনেকে। তবে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, এটাই যুদ্ধের শেষ নয়। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব দেখছে খেরসনের বিজয়োল্লাস। মাসের পর মাস রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয়রা বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন, নিপীড়িত হয়েছেন। আজ প্রকাশ পেলো সাজানো গণভোটের আসল সত্য। দখলমুক্ত করায় সেনা সদস্যরা বীরের সম্মান পাচ্ছেন। কিন্তু যুদ্ধ এখানেই শেষ নয়। বাকি এলাকাগুলোও দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হবে।

এদিকে, নিপ্রো ও নাইপার নদীর অপরতীরে ঘাঁটি গাড়ার কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়াও। তাদের বক্তব্য, সুযোগ বুঝে শত্রুপক্ষকে বিনাশে প্রস্তুত সেনাবহর। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার গুরুত্বপূর্ণ নোভা কাখোবকা বাঁধ ধ্বংস করেছে মস্কো এমনটা জানিয়েছে কিয়েভ। খেরসন শহর থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরের বাঁধটি ভাঙলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, খেরসন-মাইকোলাইভ ও খারকিভের ৪টি কমান্ড পোস্টে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে রুশবহর। তাছাড়া তিনটি হাইমার্স রকেট এবং ভিলকা মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে। আর আক্রমণ ঠেকাতে ২৩৬টি এলাকা ও ফ্রন্টলাইনে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে রাশিয়ার ৫৮টি আর্টিলারি ইউনিট।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মহলের কাছে শতাধিক নেভাল বা নৌ-ড্রোন চেয়েছে ইউক্রেন। সেটির জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজও চলছে। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে গত তিনমাসে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, যার এক-পঞ্চমাংশ সমুদ্র থেকে ছোঁড়া হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply