ব্রাজিলের বিপক্ষে বেলজিয়ামের জয়কে কোচ রবার্তো মার্টিনেজের মাস্টার টেকনিকসের জয় বলছেন সাবেক ফুটবলাররা। তবে মাঝ মাঠে হ্যাজার্ড, লুকাকু, ডি ব্রুইনাদের আনমার্ক রাখার বড় খেসারত দিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। সেলেসাওদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্যাসেমিরোর খেলতে না পারাটা।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের হারের বড় কারণ বলতে হয় ভাগ্য। ম্যাচের শুরুতে সিলভার আক্রমণ পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর ফার্নান্দিনহো গায়ে লেগে নিজেদের জালে জড়ায় বল। ব্রাজিলকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করেছে এই আত্মঘাতী গোল।
এই ম্যাচে বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজের টেকনিকের জয় হয়েছে। মিডফিল্ডার ড্রি ব্রুইকে আক্রমণভাগে নিয়ে আসেন কোচ। ৩-৪-৩ ফর্মেশন টনিক হিসেবে কাজ করেছে পুরো ম্যাচে।
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেন শিয়েরার মনে করেন, ফেলানিকে একাদশে ফেরানো আর ডি ব্রুইকে আক্রমণভাগে নিয়ে আসা, সব মিলিয়ে টেকনিকে মাস্টার ক্লাস ছিলেন মার্টিনেজ। তার কৌশলের কাছেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে ব্রাজিল।
মাঝমাঠ ঠিকভাবে মার্কিং করতে না পেরে জাপান যে ভুল করেছিল বেলজিয়ামের বিপক্ষে, তার পুনরাবৃত্তি করেছে ব্রাজিল। ডি ব্রুইনের দ্বিতীয় গোল যার বড় উদাহরণ। তবে এই গোলে মার্সেলোর ব্যর্থতার দায় রয়েছে। এই লেফটব্যাক তার জায়গা থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়েছিলেন ওই সময়টায়।
মাঝমাঠে ব্রাজিলের এমন দীনতা বিশ্বকাপের আগের চার ম্যাচে দেখা যায়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যাসেমিরোর নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়ে থাকতে পারে।
ইউরোপের পাওয়ার ফুটবলের সাথে এমনিতেই পেরে ওঠাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে ল্যাতিন অ্যামেরিকার দেশগুলোর জন্য। প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা রোমেলো লুকাকু, ডি ব্রুই, কোম্পানিদের উচ্চতা আর গতির কাছে পরাস্থ হয়েছে ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে দেবার বড় কারণ বেলজিয়াম গোল রক্ষক থিবো করতোয়া। চেলসিতে খেলা এই গোলরক্ষক একাই নেইমার-কুতিনহোদের বেশ কয়েকটি ভাল আক্রমণ রুখে দিয়েছে।
যমুনা অনলাইন: এটি
Leave a reply