বিশ্বের ৮০০ কোটিতম মানব সন্তান ভিনিস

|

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনের ম্যানিলার টন্ডোতে ডক্টর হোসে ফ্যাবেলা মেমোরিয়াল হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৯ মিনিটে জন্ম হয় শিশু ভিনিস ম্যাবানস্যাগের। তাকে প্রতীকী হিসেবে বিশ্বের ‘৮০০ কোটিতম’ মানবসন্তান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি’র।

ফিলিপাইনের কমিশন অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ শিশুটির জন্মের ঘটনাটি উদ্‌যাপন করছে। তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুকে মা ও শিশুর একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ম্যানিলার টন্ডোতে একটি মেয়েশিশু জন্মের মধ্য দিয়ে বিশ্ব আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করল। বিশ্বের ৮০০ কোটিতম মানবসন্তান জন্মের বিষয়টি প্রতীকী হিসেবে চিহ্নিত করতে ম্যানিলাকে বেছে নেয়া হয়। ১৫ নভেম্বর ডক্টর হোসে ফ্যাবেলা মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্স ও ফিলিপাইনের কমিশন অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা শিশু ভিনিসকে স্বাগত জানান।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০০ কোটি ২৮ হাজার জনে। ওয়েবসাইটটির তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ১১ কোটি ৬৯ লাখের বেশি মানুষ জন্ম নিয়েছেন।

জাতিসংঘ জানায়, ৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার মাত্র ১১ বছর পর বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছালো। এরপর ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮৫০ কোটি এবং ২০৫০ সালে পৌঁছাবে ৯৭০ কোটিতে। তাছাড়া ২০৮০ সালে এই জনসংখ্যা এক হাজার কোটির মাইলফলক অতিক্রম করবে।

এর আগে ২০২০ সালে জাতিসংঘ জানায়, ১৯৫০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ১৯৫০ সালে যেখানে একজন নারীর সন্তান জন্মদানের হার ছিল গড়ে ৫ শতাংশ সেখানে বর্তমানে তা নেমে ২ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০৫০ সালে সন্তান জন্মদানের হার নেমে আসবে ২ দশমিক ১ শতাংশে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply