স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, টাকা না দিলে ছবি ভাইরালের হুমকি 

|

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে মনির হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় বাজার থেকে তাকে গ্রেফাতার করে সদর থানা পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতেই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মনিরসহ পাঁচজন যুবককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে মামলার দুই নম্বর আসামিকে আটক করে পুলিশ। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন,পঞ্চগড় পৌরসভার জালাসী এলাকার খতিবর রহমানের ছেলে সিয়াম শাহরিয়ার উচ্ছাস (১৭), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে জিন্নাহ (২৫), মো. বাবুর ছেলে বিপুল (২৫) ও একই এলাকার মিনা বেগমের ছেলে মো. লিটন। 

মামলার এজাহার ও পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী তার বান্ধবীর সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে জালাসী এলাকার সিয়াম শাহরিয়ার উচ্ছাস নামে এক তরুণের বাড়ির সামনে পৌঁছালেই উচ্ছাস তাকে বাড়ির ভেতরে ডাকতে থাকে। স্কুলছাত্রী উচ্ছাসের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় উচ্ছাস স্কুল ছাত্রীকে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। পরে নিজের রুমেই জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

এদিকে উচ্ছাসের বাড়িতে মেয়ে আসার খবর পেয়ে উচ্ছাসের পরিচিত মনির, জিন্নাহ, বিপুল এবং লিটন উচ্ছাসের বাড়িতে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে উচ্ছাসকে ঘর থেকে থেকে বের করে দিয়ে মনির হোসেন জোরপূর্বক পাশের ঘরে আটকে রাখেন। পরে মনির ও তার সহযোগীরা মিলে ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীর বিবস্ত্র ছবি তুলতে থাকে। একদিকে মনির হোসেন ওই ছাত্রীর বিবস্ত্র ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে থাকে অপরদিকে বিপুল ও লিটন ঘরের বাইরে পাহারা দিতে থাকে। পরে মনির ও জিন্নাহ মোবাইলে তোলা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানায়।

পরে পাশের ঘর থেকে উচ্ছাসকে ছেড়ে দেয়া হয়। উচ্ছাস এসে মনির ও জিন্নাহকে ৯ হাজার টাকা দিয়ে মনিরের মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। এরপর মনিরসহ তার সহযোগীরা বাকি টাকা না দিলে ফেসবুকে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে উচ্ছাসের বাড়ি থেকে চলে যায়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায়  আসামি মনির হোসেনকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে তোলা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply