গণমাধ্যমের কাছে আওয়ামী লীগের প্রাপ্য কাভারেজ প্রত্যাশা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা ক্লাবে গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সভায় এ প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সবাই এসেছেন এখানে। আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের প্রাপ্য কাভারেজ চাই। বেশি চাই না, আমাদের যা আছে সেটুকুই দেন। বিএনপিকে কাভারেজ দিয়েন না সেটাও আমরা বলছি না। তাদেরও দেন।
বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণগন্ত্র শক্তিশালী হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভুল আছে, তা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমরাই একমাত্র দল যারা গণতন্ত্রের চর্চা করি। ভুল ত্রুটির পরও আমরা মূল ধারার সঙ্গে আছি।
দেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি কারা করেছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জেএমবির শায়খ আব্দুর রহমান কার সৃষ্টি? ভুলে গেছেন? অস্ত্র নিয়ে রাজশাহীতে প্রকাশ্যে মিছিল করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, আমরা সরব। এটা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আমাদের বিরোধী একটা জোট হচ্ছে। আমাদেরও জোট হতে পারে।
বিএনপির ভেতরে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের কি মনে আছে, কবে তারা কাউন্সিল করেছেন? এর মাঝে আমাদের দুইটা কাউন্সিল হয়ে গেছে, আরেকটা চলে এসেছে।
বিএনপি কর্মসূচির কাউন্টার অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগ করে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে জেলা সম্মেলন করছি আমরা। অনেক ক্ষেত্রে একই জেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে বিএনপিকে ‘টার্গেট’ করে আওয়ামী লীগ কিছু করছে না।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের ভুলত্রুটি আছে। তবুও বিশ্ব সংকটময় পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অর্জন তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ক্ষয়ে পুরো দেশের ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি মনে রাখা প্রয়োজন। এই সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক কাল বেলার সম্পাদক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, মানব জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল কবির, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম হেলাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল প্রমুখ।
এটিএম/
Leave a reply