শীতকালে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কমে যায়। সেই সঙ্গে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা। তাতেই গোলযোগ বাধে শরীরের ভেতরে। জ্বর, সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই ভিটামিন সি, ফাইবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কিছু উপাদানের জোগান দিতে শীতকালে বেশি করে খেতে হবে টক জাতীয় ফল। তাতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে শরীর।
টকজাতীয় কোন ফলগুলি বেশি করে খাবেন শীতকালে?
কুল
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কুল হজমের জন্য খুবই ভালো। কুলে আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। এখনো বাজারে তেমন কুলের দেখা মেলেনি। তবে ঠান্ডা একটু বেশি পড়লে বাজারে মিলবে এই ফল।
কমলালেবু
শীতে সুস্থ থাকতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার। বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু সর্দি-কাশি থেকে মওসুমি নানা সংক্রমণ- বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে কার্যকরী। হজম শক্তি বাড়াতেও এই ফলের মতো উপকারী ফল খুব কমই রয়েছে। কমলালেবুতে আছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। হাড় এবং দাঁতের যত্ন নিতে এই দুই উপকরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জলপাই
শীতের মওসুমে জমিয়ে ভূরিভোজের পর শেষে একটু চাটনি না হলে চলে না। আর তা যদি জলপাইয়ের হয়, তাহলে তো কথাই নেই। জলপাইতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও সি। শীতকালীন ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তাড়াতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমেও জলপাই দারুণ কার্যকরী।
আমলকি
চুল থেকে ত্বকের যত্ন রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি সত্যিই ভীষণ কার্যকরী। শীতকালে প্রতিদিনের ডায়েটে একটি করে আমলকি রাখতে পারেন। অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। শীতকালে রোগবালাই লেগেই রয়েছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
ইউএইচ/
Leave a reply