রাশিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া

|

রীতিমতো উড়ছিল রাশিয়া। জিতেই চলছিল তারা। ইতিহাস গড়ে উঠে এসেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে আর এগোতে পারল না রাশানরা। বলতে গেলে তাদের এগোতে দিল না ক্রোয়েশিয়া। স্বাগতিকদের মাটিতে নামিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল ক্রোয়াটরা।

রোবটের মতো চেষ্টা করেও শেষমেশ ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ধরাশায়ী হলো রাশিয়া। এতে প্রথমবারের মতো ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের সেমিতে খেলার স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটলো তাদের। আর এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ সালের পর সেকেন্ড ফাইনালের টিকিট পেল ক্রোয়েশিয়া।

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শোচির ফিশ্ট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া। শুরু থেকে মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। সেখানে উইং দিয়ে একই কাজটা করে যায় রাশিয়া। তবে প্রথম সুযোগ পায় ক্রোয়াটরা। ১৮ মিনিটে ডি বক্সের একেবারে সামনে ফ্রি কিক পায় তারা। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি ইভান রাকিতিচ।

পরে আক্রমণের গতি বাড়ায় রাশিয়া। ফলে সাফল্যও পায় স্বাগতিকরা। ৩১ মিনিটে বুলেটগতির দূরপাল্লার শট জালে জড়ান ডেনিশ চেরিশেভ। এতে স্কোরলাইন হয় রাশিয়া ১-০ ক্রোয়েশিয়া। এটি এ গোলমেশিনের এবারের বিশ্বকাপে চতুর্থ গোল।

পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। একের পর এক আক্রমণ করেন মড্রিচরা। তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখও দেখে। ৩৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের অসাধারণ কাটব্যাক থেকে দুর্দান্ত হেডে নিশানাভেদ করেন আন্দ্রেজ ক্রামারিচ। এতে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগে আর কোনো দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি।

বিরতির পর আপ অ্যান্ড ডাউনে এগিয়ে চলে খেলা। একবার রাশিয়া আক্রমণে উঠে তো আরেকবার ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কটি সুযোগ পায় উভয় দল। তবে কেউই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি। ফলে ১-১ সমতাতেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।

ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এখানে জমে উঠে খেলা। ১০০ মিনিটে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে লিড এনে দেন দোমাগোজ ভিদা। ব্যাকফুটে চলে গিয়ে ঝটিকা অভিযান চালায় রাশিয়া। গোলের দেখাও পায় তারা। ১১৫ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করে রুশ সমর্থকদের উল্লাসে ফাটান মারিও ফার্নান্দেজ।

ফলে ম্যাচ নিষ্পত্তির জন্য দ্বারস্থ হতে হয় টাইব্রেকার নামক ভাগ্যের। যেখানে জিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply