ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন ও ডাচ দলপতি ভার্জিল ভ্যান ডাইক বাহুতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে গোল ডটকম। তবে ফিফার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই আর্মব্যান্ড পরেই যদি তারা মাঠে নামেন, তবে হলুদ কার্ড দেখতে হতে পারে দুই দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে।
নানা কারণে কাতার বিশ্বকাপকে বিবেচনা করা হচ্ছে স্মরণকালের অন্যতম বিতর্কিত বৈশ্বিক আসর হিসেবে। বিশ্বকাপের আয়োজনে জড়িত প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দোহা থেকে শ্রমিকদের উচ্ছেদ, অ্যালকোহল নিষিদ্ধকরণ, সমকামী ফুটবলারদের শঙ্কা, অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন নিঃসরণসহ বেশ কিছু ইস্যুতে চলছে বিতর্ক।
এই ইস্যুগুলো তুলে ধরার এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেছেন ওয়েলস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের সাতটি দেশের অধিনায়করা। এরই ফলশ্রুতিতে হ্যারি কেইন বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা খেলোয়াড় ও স্টাফ সবাই মিলে একটি দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমরা এই আর্মব্যান্ড পরতে চাই। ফিফা এই নিয়ে আলোচনা করছে বলেই জানি। ইরানের সাথে ম্যাচের আগেই এ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যেতে পারে। তবে হ্যাঁ, আমরা এই আর্মব্যান্ড পরতে চাই।
ডাচ দলপতি ও সময়ের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক বলেছেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়নি। এই আর্মব্যান্ড পরার কারণে যদি হলুদ কার্ড দেখতে হয় তবে আমাদের এই নিয়ে কথা বলা উচিত। কারণ, আমি স্বাভাবিকভাবেই হলুদ কার্ড নিয়ে খেলতে চাইবো না।
মূলত, রেইনবো আর্মব্যান্ড বা ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি ফিফা। তবে জানিয়েছে, এর কারণে খেলোয়াড়কে কার্ড প্রদর্শন করা হতে পারে। কারণ, ফিফা বৈষম্য বিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন, শিশুদের সুরক্ষাসহ নানা ইস্যুতে প্রচারণামূলক কাজ করে থাকে। ফিফা জানিয়েছে, খেলায় এসবের পরিপন্থী কোনো বাণী যেমন রাজনৈতিক, ধর্মীয় কোনো স্লোগান প্রদর্শন করা হলে তাকে ফিফার নীতিমালার আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপে কোরআন তেলাওয়াত করা কে এই ঘানিম?
/এম ই
Leave a reply