তীব্র খরা আর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের কৃষি খাত। নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর জমির ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মরিচ চাষিরা। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদন হয় যে কুনরি এলাকায় সেখানেও এখন মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে নিঃস্ব হওয়ার পথে অনেক চাষি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষিনির্ভর দেশটির কৃষিখাতই এখন রয়েছে বিপর্যয়ের শঙ্কায়। খবর আল জাজিরার।
মূলত বিগত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে চলমান দাবদাহের কারণে বছরজুড়ে কুনরি এলাকায় খরা লেগেই থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় মরিচের ফলনও কমে গেছে। চলতি বছরের বৃষ্টি চাষিদের মুখে হাসি ফোটালেও তা মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। অতিবৃষ্টিতে গত আগস্টে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই তলিয়ে যায় শতশত হেক্টর জমির মরিচ।
এ নিয়ে পাকিস্তানের কৃষক লেমান রাজ বলেন, প্রথমে খরার কারণে আমার ফসল নষ্ট হয়েছে। এরপর শুরু হলো বৃষ্টি। আবহাওয়া পুরোপুরি বদলে গেলো। এখন অতিবৃষ্টির কারণে আমি আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমার সব মরিচই পচে গেছে। আগে এই এলাকায় এত তীব্র গরম ছিল না, বৃষ্টিও হতো প্রয়োজন মতো।
বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ মরিচ উৎপাদন হয় পাকিস্তানে। দেশটির ৬০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বছরে অন্তত ১ লাখ ৪৩ হাজার টন মরিচ চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি মরিচ হয় এই কুনরিতে। আর এখন কুনরির পাইকারি বাজারগুলোতেও মরিচের ঘাটতি।
এ নিয়ে দেশটির কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. আতাউল্লাহ খান বলেন, মরিচ চাষকে টিকিয়ে রাখতে জরুরিভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মরিচ ক্ষেতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য জলপথগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।
চলতি বছরের বন্যায় পাকিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার কোটি ডলার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির কৃষিখাত।
এসজেড/
Leave a reply