অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে লাতিন শরণার্থীরা পাড়ি দিচ্ছে ভয়ংকর বনাঞ্চল দারিয়েন গ্যাপ। দেড়শ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই বন কলম্বিয়াকে সংযুক্ত করেছে পানামার সাথে। সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীরা পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে। ভয়ংকর সব প্রাণি আর ফার্ক গেরিলাদের মতো বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার শঙ্কা থাকলেও চলতি বছর ২ লাখের বেশি মানুষ পাড়ি দিয়েছেন দারিয়েন গ্যাপ। যার মধ্যে ৩০ হাজারের বেশিই শিশু।
মূলত বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা ও পেরুর মতো লাতিন দেশগুলো থেকে দলে দলে পাড়ি দিচ্ছেন এই দারিয়েন গ্যাপ। ভেনেজুয়েলার জনি ওর্তেগা বলছিলেন, অনেকেই নিজের ঘরবাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে। কেউ কেউ আসার ঋণ নিয়ে করেছে। তারা জানেও না কীভাবে এই অর্থ ফেরত দেবে। খবর রয়টার্সের।
চলতি বছরের দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেয়ার সংখ্যা গেলো বছরের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ। দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার মতো নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে এসব শিশু। ঘটছে প্রাণহানিও। তবে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীর বেশিরভাগই আটকা পড়ছে মেক্সিকোয়। কেউ আবার ফেরত আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে। তাদের ঠাঁই হচ্ছে মেক্সিকোর বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে।
ভেনেজুয়েলার অ্যানা ভিলালোবো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সব রাস্তা আমাদের জন্য বন্ধ। আবার নিজ দেশেও ফেরত যাওয়া সম্ভব না। জানি না, আমার আশ্রয় কোথায় হবে শেষ পর্যন্ত। এভাবে তো আর আশ্রয় কেন্দ্রে বাকি জীবন কাটাতে পারবো না।
মানবাধিকার কর্মী লিসবেথ গরেইরা বলেন, নিজ নিজ দেশে এসব আশ্রয় প্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানোটা কোনো সমাধান নয়। কারণ সেখানকার সহিংসতা, অস্থিতিশীলতার জন্যই এসব মানুষ নিজ দেশ ছাড়ছেন। তাদের ফেরত পাঠানো হলে আবারও তারা আসার চেষ্টা করবেন। তাই যতক্ষণ না এসব দেশগুলোয় সংঘাত বন্ধ হচ্ছে, ততক্ষ পর্যন্ত এই সংকট সমাধান সম্ভব না।
এ অবস্থায় আটকে পড়া শিশুদের জন্য ওষুধ, খাবার ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে জাতিসংঘ। তবে সংশ্লিষ্ঠদের তাগিদ দ্রুত এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ।
/এমএন
Leave a reply