প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে যশোর। গতকাল দিনে তো বটেই, রাতেও মহাসমারোহে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। আর পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণবঙ্গে আগমনে নতুন কিছুর আশায় বুক বেঁধেছেন যশোরবাসী। এই অঞ্চলের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা ও কালনা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। তার এ আগমনকে ঘিরে স্থানীরা যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল নির্মাণ, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককীরণ, ভবদহ জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু হওয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের বাকি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন, এমন প্রত্যাশাই এই অঞ্চলবাসীর। তাদের দাবিগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন যশোরবাসী।
মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে কৃতজ্ঞতা জানাতেই সমাবেশস্থলে জনস্রোত বইবে।
অন্যদিকে, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক শামীম বলেন, এ অঞ্চলের স্মরণকালে বৃহৎ এ জনসভায় আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করবে। আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট হয়ে মাঠে থাকবেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন পর জেলা সফর শুরু করছেন। শুরুতেই আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। দলীয় প্রধানের এই সফরে বিপুল পরিমাণ জনসমাগমের প্রস্তুতি শেষ করেছেন দলটির নেতারা।
/এমএন
Leave a reply