ছবি: সংগৃহীত
কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল। নামের বিচারে বড় না হলেও পাওয়ার ফুটবলে ব্রাজিলকে চেপে ধরতে পারে সার্বিয়া।
চলুন জেনে নেতা যাক এই ম্যাচে দৃষ্টি থাকবে যেসব খেলোয়াড়ের ওপর।
অ্যারোগেন্ট! ওভাররেটেড! পেস্টার বয়! এমন অনেকট তকমায় আলোচনা সামালোচনা যাই হোক না কেন যে কোনো দলের বিপক্ষেই ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন বর্তমান ব্রাজিল দলের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার নেইমার। গত মৌসুমটা খারাপ কাটলেও এই বছর দারুণ ছন্দে আছেন নেইমার। ফিটনেসে উন্নতি করে এই পিএসজির হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ গোল করেছেন আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১১ গোল। সেই ফর্ম বিশ্বকাপে দেখাতে পারলে সার্বিয়াতো বটেই যে কোনো দলের ভয়ের কারণ হবেন নেইমার।
এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় ফুটবলারদের তালিকা করলে উপরের দিকে থাকবেন ভিনিসিয়ান জুনিয়র। ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের এই লেফট উইঙ্গার অন দ্য বল ও অফ দ্য বল ড্রিবল করার গতি এতটাই বেশি যে প্রতিপক্ষের রক্ষণের কাছে এখন আতঙ্কের নাম ভিনি জুনিয়র। সার্বিয়া বিপক্ষে ম্যাচতো বটেই কাতার বিশ্বকাপে এই ফুটবলার হতে পারেন সেলেসাওদের ত্রাতা।
ফুটবল গোলের খেলা জিততে হলে চাই গোল তাই বলে রক্ষণ কি কম গুরুত্বপূর্ন। আক্রমণের পাশাপাশি বিশমানের ডিফেন্স লাইনের ফুটবলার থাকাটাই ব্রাজিলকে এবার টপ মোস্ট ফেভারিটের কাতারে পৌঁছে দিয়েছে।
গোলক্ষকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ন তা ইতোমধ্যেই দেখিয়েছেন সৌদি আরবের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল-ওয়াইস ও বেলজিয়ামের কর্তোয়া দেখিয়েছেন। ঠিক তেমনি ব্রাজিলের জয়ের নায়ক হতে পারেন বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার অ্যালিসন। রক্ষণে ব্রাজিলের বড় ভরসা মারকুনিয়স। গতি আর সাহসিকতা, আর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। তবে ব্রাজিলের মাঝ মাঠের নেইমার কিন্তু ক্যাসেমিরো। বলে সাপ্লাই ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্ষণেও খুবই কার্যকর এই ম্যানইউ তারকা।
ব্রাজিল ম্যাচতো বটেই যে কোনো দলের বিপক্ষে সার্বিয়ার ইঞ্জিন সার্গেই মিলিংকোভিস সেভিচ। দারুণ মৌসুম পার করছেন এই মিডফিল্ডার। লাৎজিওর সিরিআর শীর্ষে ওঠার বড় কারিগর, এই মিডফিল্ডার ভয়ের কারণ হতে পারে ব্রাজিলের জন্য।
তবে সার্বিয়ার বড় শক্তি তাদের আক্রমণ ভাগ। জুভেন্টাস তারকা দুসান ভ্লাহোভিচ, আলেকজান্ডার মিত্রভিচ আর দুসান -ডুসান তাদিচ সুযোগ পেলে ব্রাজিলের রক্ষণে কাপন ধরাতে পারেন।
/এনএএস
Leave a reply