স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মামা-ভাগ্নের নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। সকাল ৭টা থেকে বেলা পোনে ১১টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিরাপত্তার জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাপরতলা ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হন মামা জাহের মোল্লা ও ভাগ্নে মোক্তার হোসেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন মামা জাহের মোল্লা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভের তৈরি হয় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে। এরপর থেকেই মামা-ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দু’পক্ষে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। এর আগে গত সপ্তাহে ভাগ্নে মোক্তার হোসেনের এক সমর্থকের ওপর মামা জাহের মোল্লার সমর্থকরা হামলা চালায়। এর জেরে শুক্রবার সকালে মোক্তার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় মামা জাহের মোল্লার লোকজন। এ সময় দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মোক্তারের পক্ষের সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি থানায় লিখিত দরখাস্ত করেছি। কিন্তু জাহের মোল্লা সমাধান করতে চায় না। আজ (শুক্রবার) সকালে জাহের মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, জাহের মোল্লার দাবি, সকালে বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউএনওর কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মোক্তারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, নির্বাচনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামা-ভাগ্নের গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের কিছু লোকজন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ নিয়ে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর ভুঁইয়া বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদের অসহযোগিতায় তা আর সম্ভব হয়নি।
এসজেড/
Leave a reply