ভাঙলো কর্তোয়ার দেয়াল, বেলজিয়ামকে স্তব্ধ করে মরক্কোর লিড

|

ছবি: সংগৃহীত

আবদেলহামিদ সাবিরির গোলে বেলজিয়ামকে স্তব্ধ করে ম্যাচে লিড নিয়েছে মরক্কো। অঘটনের এই বিশ্বকাপে সেরকমই আরও কিছু তৈরি হতে যাচ্ছে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ম্যাচের বাকি নেই আর খুব বেশি সময়।

বেলজিয়ামকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছে মরক্কো। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে হাকিম জিয়েচের গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারতো ওয়ালিদ রেগ্রাগির শিষ্যরা। তবে প্রথম ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে নিষ্প্রভ পারফরমেন্সের পর মরক্কোর বিরুদ্ধেও খুব বেশি কিছু করতে পারছেন না ডি ব্রুইনা-হ্যাজার্ডরা।

বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম বৈশ্বিক আসরে এখনও জিততে পারেনি কোনো শিরোপা। এডেন হ্যাজার্ড নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। চোটের কারণে এখনও শতভাগ ফিট হতে পারেননি রোমেলু লুকাকু। ‍উইটসেল, দ্রিস মের্টেন্সরা পারছেন না ব্যবধান গড়ে দিতে। আল থুমামা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল বাড়াচ্ছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। কিন্তু সে সবের অনুবাদ হচ্ছে না মিচি বাতশুইয়ায়ের পায়ে।

অন্যদিকে, বেলজিয়ামের রক্ষণে প্রায়ই হানা দিচ্ছেন আশরাফ হাকিমি, নেসাইরি, জিয়েচরা। তবে কর্তোয়ার দেয়াল ও বেলজিয়াম রক্ষণ ভাঙা যাচ্ছিল না। তবে প্রথমার্ধ শেষের মুহূর্তখানিক আগে হাকিম জিয়েচের বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিক থিবো কর্তোয়াকে পরাস্ত করে জালে জড়ালে উল্লাসে মাতেন মরক্কোর ফুটবলাররা। তবে অল্প সময় পর ভিএআরের সহায়তায় অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল বলে ঘোষণা করেন রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধেও দুই প্রান্তেই চলছে একের পর এক আক্রমণ। অনানা, এডেন হ্যাজার্ডদের বদলে নামানো হয়েছে তিলেমান্স, মার্টেন্সদের। অন্যদিকে, নতুন পা নেমেছে মরক্কো শিবিরেও। আশরাফ হাকিমি ও আমাল্লাহকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাইড বেঞ্চে। তবে বদলি হিসেবে নামা আবদেলহামিদ সাবিরির বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিকে আবারও বিভ্রান্ত হন কর্তোয়া। তবে এবার আর ভাগ্যের সহায়তা পাননি সময়ের এই অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। ভিএআরে বাতিল হয়নি গোল। তাই, গোল শোধে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে ডি ব্রুইনারা।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply