গত জুনে সরকারের সাথে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেছে তেহেরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। পাকিস্তান জুড়ে এবার পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হবে বলেও প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে টিটিপি যোদ্ধারা। জঙ্গি হামলার শঙ্কায় ইমরান খানের বহুল আলোচিত লং মার্চ বাতিলের দুদিন পরই উগ্রপন্থী দলটি এ ঘোষণা দিলো। এ খবর এনডিটিভির।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) এ ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের তালেবান। টিটিপির সাথে আফগানিস্তানের তালেবানের সরাসরি কোনো সংযোগ না থাকলেও একই আদর্শে পরিচালিত হচ্ছে দলটি। ২০০৭ সালের পর থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সহিংস হামলা চালিয়েছে টিটিপি। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন শত শত মানুষ।
এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে দলটির যোদ্ধাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী। তাই সমগ্র দেশে যতো বেশি স্থানে সম্ভব, হামলা চালিয়ে যাবো আমরা।
মূলত পাকিস্তানের তালেবানের লক্ষ্য, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে পাকিস্তানি সরকারব্যবস্থা উচ্ছেদ করে সেখানে শরিয়া শাসনব্যবস্থা কায়েম করা। এ লক্ষ্যে তারা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে লড়াইরত অন্যান্য ছোট বড় একাধিক জিহাদি গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করছে। দলের সদস্য সংগ্রহের জন্য টিটিপি মূলত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। সেখান থেকে জনবল সংগ্রহ করে তারা নিজেদের বাহিনীতে নিয়োগ দেয়।
২০১০ সালে এই দলের যোদ্ধাদের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে বিতাড়িত করা হয়েছিল। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের তালেবান।
তবে চলতি বছরের জুনে পাক সরকারের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় টিটিপি। অবশ্য শুরু থেকে উভয় পক্ষই চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করে আসছিল একে অপরের বিরুদ্ধে। এর জেরে একাধিক সংঘাতের ঘটনাও ঘটে। আর এবার প্রকাশ্যেই চুক্তি বাতিলের ও সর্ব শক্তিতে দেশজুড়ে হামলার ঘোষণা দিলো টিটিপি। এর ফলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply