যে সমীকরণে নক আউট পর্বে যেতে পারে জার্মানি

|

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বকাপের নক আউটের টিকিট পেতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে অন্য দলের ‘সাহায্য’ লাগবে জার্মানির। সেই সাহায্য না পেলে পরপর দু’বার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যেতে পারে জার্মানি।

গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে জিততে হবে জার্মানিকে। সেইসাথে স্পেন যেন জাপানকে হারাতে পারে সেটাও আশা করতে হবে। কোস্টারিকাকে হারিয়ে দিলে জার্মানির পয়েন্ট হবে চার। স্পেনের ঝুলিতে থাকবে সাত। জাপান ও কোস্টারিকা তিন পয়েন্টেই আটকে থাকবে। ‘রাউন্ড অফ ১৬’-এ উঠে যাবে স্পেন ও জার্মানি।

স্পেন ড্র করলেও নক-আউটে যেতে পারে জার্মানি। তবে তখন গোল পার্থক্য বিবেচনা করা হবে। যদি স্পেন ও জাপানের ম্যাচ ড্র হয়, তাহলে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট হবে পাঁচ। জাপানের পয়েন্ট হবে চার। জাপানের যেহেতু গোলপার্থক্য শূন্য আছে, তাই শেষ ম্যাচে ড্র করলে গোলপার্থক্য সেটাই থাকবে। অর্থাৎ কোস্টারিকাকে ন্যূনতম ২-০ গোলে হারালেই নক-আউটে স্পেনের সঙ্গী হবে জার্মানি।

স্পেন যদি জাপানের কাছে হেরে যায়, তাহলেও খাতা কলমে জার্মানির সামনে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ আছে। যদি জাপান জিতে যায়, তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ছয়। চার পয়েন্টেই আটকে থাকবে স্পেন। কোস্টারিকাকে হারিয়ে জার্মানিও চার পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে। 

সেক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গী হিসেবে নক-আউটে কোন দল উঠবে, তা গোল পার্থক্য নিরিখে বিবেচনা করা হবে। আপাতত স্পেনের গোলপার্থক্য ছয়। হারলে সেটা কিছুটা কমলেও কোস্টারিকার বিরুদ্ধে বড়সড় ব্যবধানে জিততে হবে জার্মানিকে।

অর্থাৎ গোলপার্থক্যের নিরিখে স্পেনকে ছুঁতে গেলে জার্মানিকে অভাবনীয় কিছু করতে হবে। তাহলেই গোল পার্থক্যের নিরিখে স্পেনকে ছাপিয়ে নক আউটে যেতে পারবেন থমাস মুলাররা।

মোট কথা নক আউটে যেতে জার্মানিকে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। ড্র হলে বা হেরে গেলে দেশে ফেরার বিমান ধরতে হবে হান্সি ফ্লিকের ছেলেদের।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply