কামরাঙ্গীরচর থানায় ডা. এম এইচ ওসমানি নামে এক চিকিৎসকের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একজন নার্সের করা শ্লীলতাহানির মামলা নেয়ায় হাসপাতালের অন্য কর্মচারীরা মিলে থানায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় ওসমানীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে চিকিৎসকের স্ত্রীর দাবি, মামলার বিষয়ে কথা বলতে গেলে পুলিশই তার স্বামীকে মারধর করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে এ ঘটনা। পুলিশ বলছে, রিভারসাইড হাসপাতালের একজন নার্স প্রতিষ্ঠান প্রধান ডা. ওসমানির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলার করেন। এর প্রতিবাদে থানার ওপর চড়াও হয় ওই চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মচারীরা। এ হামলায় ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
এ নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৭০-৮০ জনকে নিয়ে থানায় হামলা করেন ড. ওসমানি। থানায় এসে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। আমরা এরই মধ্যে ওসমানিকে হেফাজতে নিয়ে মামলা করেছি এবং আরও ৪-৫ জনকে গ্রেফতার করেছি।
তবে ডা. ওসমানীর স্ত্রী ডা. শারমিন জাহান প্রিয়ার দাবি উল্টো। তার অভিযোগ, মামলার বিষয়ে জানতে থানায় গেলে পুলিশই তাদের ওপর চড়াও হয়। তার দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ সব সরিয়ে ফেলেছে পুলিশ, ক্যামেরাও ভাঙা হয়।
ডা. শারমিন জাহান প্রিয়ার অভিযোগ, মামলার বিষয়ে কথা বলতেই থানায় যান ওসমানি। রাস্তা থেকে থানায় ঢোকার করিডোরে ছিলাম আমরা। এরপর আমরা সেখান থেকে ফিরে যাচ্ছিলাম। তবে ওই সময় পুলিশ এসে ওখানকার লোকজনকে মারধর শুরু করে। ওসমানির হাঁটুতে ইঞ্জুরি ছিল। সে পড়ে গেলে সেখানেই তাকে মারধর করে পুলিশ। এতে অচেতন হয়ে যায় সে।
এ ঘটনায় ডা. ওসমানীকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৭০-৮০ জনকে।
এসজেড/
Leave a reply