মার্কিন সমরভাণ্ডারে নতুন যুদ্ধবিমান, শব্দের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি গতি

|

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সমরভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান। স্টিলথ প্রযুক্তির বি-টুয়েন্টি ওয়ান রেইডারটি এরইমধ্যে সর্বকালের সর্বাধুনিক সামরিক বিমানের তকমা পেয়েছে। চরম গোপনীয়তায় নির্মাণ করা হয়েছে এটি। রাডার ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম বি-টুয়েন্টি ওয়ান। একসাথে বহন করতে পারে প্রচলিত বিস্ফোরক ও পারমাণবিক অস্ত্র। খবর রয়টার্সের।

২০১৫ সালে শুরু হয় মার্কিন সামরিক বাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বি-টুয়েন্টি ওয়ান রেইডার নির্মাণ প্রকল্প। যার নকশা ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কঠোরভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নরথ্রপ গ্রুম্যানের দাবি, সর্বকালের সর্বাধুনিক সামরিক বিমান এটি। এর এগে, এফ থার্টি ফাইভ, বি-টু স্পিরিট বোমারু বিমানের মতো অত্যাধুনিক সামরিক বিমান বানিয়েছে সমরাস্ত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি। বি-টু স্পিরিটের প্রায় ৩৪ বছর পর আনা হলো এই সিরিজের নতুন বোমারু বিমান।

অত্যাধুনিক রাডারের চোখ ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতার কারণে সামরিক খাতে আলাদা কদর রয়েছে স্টিলথ প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তির নতুন সংযোজন বি-টুয়েন্টি ওয়ান রেইডার বিশ্বের যেকোন প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম। বিস্ফোরক ও পারমানবিক অস্ত্র একসাথে বহনে সক্ষম দূরপাল্লার এই যুদ্ধবিমান। যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতাও রয়েছে এটির। পাইলট ছাড়াও পরিচালনা করা সম্ভব এই বিমান।

শব্দের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি গতি সম্পন্ন এই যুদ্ধবিমান। হামলা ছাড়াও গোয়েন্দাবৃত্তিতে ব্যবহার সম্ভব এই স্টিলথ বিমান। ((আলফা)) নরথ্রপের দাবি, অন্তত ১০০টি সর্বাধুনিক এই সামরিক বিমান নিজেদের সমর ভাণ্ডারে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর।

বর্তমানে মার্কিনিদের ভাণ্ডারের মাত্র দশ শতাংশ বোমারু বিমান প্রতিপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক বি-টুয়েন্টি ওয়ান রেইডার তাদের সামরিক সক্ষমতা আরও বহুগুণ বাড়াবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান ডু-লিটল রেইডের নামানুসারে এই বিমানের নামকরণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বিমানটির প্রথম মিশন হওয়ার কথা রয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply