হ্যান্ডারসন-কেইনের গোলে প্রথমার্ধ নিজেদের করো নিলো ইংল্যান্ড

|

আফ্রিকান কোনো দেশের বিপক্ষে হারের রেকর্ড নেই ইংল্যান্ডের। ৪ জয়ের বিপরীতে, ৩ ড্র। বিপরীতে আফ্রিকান দেশগুলো এর আগে ৯ বারের মধ্যে ৮ বারই ইউরোপের দেশের কাছে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হেরেছে। শুধু ২০০২ সালে সুইডেনকে হারিয়েছিলো সেনেগাল। সমীকরণ ইংলিশদের পক্ষে, র‍্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে থ্রি লায়ন্স। তারপরও শুরু থেকে সমান তালে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছে সিসের দল।

প্রথম ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকবার সেনেগালের রক্ষণে কেইন-সাকা-ফোডেনরা ঢুকে পড়লেও ছিল না অন টার্গেটে কোন শট। স্রোতের বিপরীতে ২৩ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের ভুল পাস নিয়ে ইংলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়ে সেনেগাল। এমনকি ডি বক্সে শট নেয়ার সুযোগও পান সেনেগালের স্ট্রাইকার দিয়া। কিন্তু গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মেরে নষ্ট করেন ম্যাচে নিজেদের প্রথম গোলের সুযোগটি। তবে সেই শট নেবার আগে ইংলিশ ডিফেন্ডার স্টোনসের হাতে বল লাগলেও ভিএআর আমলে নেয়নি সেই আবেদন।

৩২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম অন টার্গেট শট আসে সেনেগালের পক্ষ থেকে। সারের বাড়ানো বলে দিয়ার নেয়া শট পিকফোর্ড এক হাতে ফিরিয়ে রক্ষা করে ইংলিশদের। ৩৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ করে ম্যাচে লিড নেয় ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনের বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ওঠেন বেলিংহাম। ডি বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো হ্যান্ডারসনকে বল বাড়িয়ে দেন। বল জালে প্লেস করতে কোন ভুল করেননি লিভারপুল তারকা।

গোল পেয়েই পাল্টে যায় ইংলিশদের খেলার ধরন। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে সেনেগালের রক্ষণভাগ। ৪১ মিনিটে আরও একটি সুযোগ আসে সাউথগেটের দলের সামনে। কিন্তু হ্যারি কেইন তার শট রাখতে পারেননি পোস্টে। তবে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আর ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক। মাঝ মাঠ থেকে বেলিংহাম বল বাড়ান ফোডেনের উদ্দেশে। ডি বক্সের মাথায় তিনি বল বাড়ান হ্যারি কেইনের কাছে। এবারের আসরে নিজের প্রথম গোল করতে ভুল করেননি কেইন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ৬৬’র চ্যাম্পিয়নরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply