নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার অবহেলায় গর্ভের সন্তানসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
নিহতের পরিবারে অভিযোগ, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে খাদিজার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. জিনিয়া খানের তত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। এই সময় তার শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নড়বে।
কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নড়াচড়া করেনি। এমনকি রোববার সকাল ১১টায়ও চিকিৎসক এসে খাদিজাকে দেখেনি। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়।
পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর কথা জানান। এই সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোনো সমস্যা হবে কিনা তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোনো সমস্যা হবে না।
পরে ডা. জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসককে বার বার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শারীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে ডা. মো. আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অনেক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিঁচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সকল চিকিৎসা করেছি।
/এনএএস
Leave a reply