বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রতি গুলিস্তান থেকে ধানমন্ডি পর্যন্ত হেঁটেছেন লিওনেল মেসি। আর ম্যাচপ্রতি এই হাঁটায় মেসিকেও ছাড়িয়ে গেছেন লেভাদোভস্কি। বিবিসি স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সেখানে দেখানো হয়েছে ম্যাচ প্রতি প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটেন মেসি।
মেসি হাঁটেন, তারপর হাঁটেন, অতপর হাঁটেন। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থকের চোখে ম্যাচের ৯০ মিনিটের বেশিরভাগটাই মেসি হেঁটে বেড়ান। তারপরও দিনশেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা উঠে এই ক্ষুদে জাদুকরের হাতে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে মেসি গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন সতীর্থকে দিয়ে। দেখিয়েছেন ফুটবল জাদু। তারপরও বিশ্বকাপে তার হাঁটার গ্রাফটা উপরের দিকেই।
বিবিসি স্পোর্টসের এক জরিপ বলছে ম্যাচ প্রতি মেসি হেঁটেছেন প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার করে।
সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারের দিন মেসি হেঁটেছেন ৪ হাজার ছয়শো সাতাশ মিটার। কিলোমিটারের হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে হেঁটেছেন সাড়ে ৪ কিলোমিটারেরও বেশি। আর মেক্সিকোর বিপক্ষে হেঁটেছেন সর্বোচ্চ ৪ হাজার নয়শো আটানব্বই মিটার। যা কিলোমিটারের হিসেবে প্রায় ৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের হিসেবে এই দুরুত্বকে স্থানভেদে কনভার্ট করলে দাড়ায় গুলিস্তান থেকে ধানমন্ডি। গুগল ম্যাপ বলছে এই পথ হাঁটতে একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রয়োজন হবে ১ ঘন্টারও বেশি সময়।
কিন্তু এরপরও প্রায় ম্যাচেই সেরার তকমাটা উঠে মেসির হাতে। কিন্তু কেন, মেসির সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলা একবার বলেছিলেন, মেসি যখন হাঁটেন তখন তার চার পাশটা দেখে নেন। আর তখনি নিজের মাঝে ফুটবলারদের একটি চিত্র বানিয়ে ফেলেন। আর তাতেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেন এল এম টেন।
অবশ্য কাতার বিশ্বকাপে মেসির থেকে বেশি হেটেছেন পোল্যান্ডের লেভানদভস্কি। সৌদি আরবের বিপক্ষে ৫ হাজার দুইশো দুই মিটার হেটেছেন এই ফরোয়ার্ড।
/আরআইএম
Leave a reply