মাহফুজ মিশু:
নতুন বছরের শুরুতেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়তে পারে ১৫ শতাংশের মতো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলছে, বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর আবেদন যাচাইবাছাই শেষ। দ্রুততম সময়ে গণশুনানি করে মূল্য সমন্বয়ের চেষ্টা করছে তারা।
তবে গণশুনানির মাধ্যমে নাকি নির্বাহী আদেশে দাম বাড়বে, তা জানতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বিইআরসি। মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দাম সমন্বয় করবে বিইআরসি।
পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার সাথে সাথেই গ্রাহক পর্যায়েও দাম বাড়াতে তৎপরতা শুরু বিতরণকারী কোম্পানিগুলো। এরইমধ্যে বিইআরসিতে আবেদনও করেছে তারা। এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করার কথা বিইআরসির। সরকার চাইলে নির্বাহী আদেশেও দাম বাড়াতে পারবে; নতুন বিধান পাশের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে নির্ধারিত হবে বিদ্যুতের দাম?
বিইআরসির সদস্য বজলুর রহমান বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি একটা, তাতে জানতে চেয়েছি। যেহেতু গেজেট আকারে পাশ হওয়ার আগেই আইনটি সম্পর্কে আমরা জেনেছি, সেহতেু সরকারের সাথে পরামর্শের দরকার আছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তারা (বিইআরসি) তো শুনানি করবে এবং এক্ষেত্রে অংশীদার থাকবে। মন্ত্রণালয়ের বিষয়টা হলো সময়ক্ষেপণ যেন না হয় এবং বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
দাম বাড়াতে অবশ্য কালক্ষেপণ করতে চায় না কমিশন। বজলুর রহমান বলেন, নোটিশ দেয়ার পর শুনানি করতে হবে। এরপর যাছাইবাছাই হবে। তবে ডিসেম্বরে দাম বাড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে হয়। জানুয়ারিতে তা হতে পারে। এছাড়া, ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী গ্রাহকদের স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা থাকবে বলে জানান বিইআরসির এই সদস্য।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছ থেকে কিনে গ্রাহকদের কাছে তা পৌঁছে দেয় ডেসকো, ডিপিডিসির মতো বিতরণকারী কোম্পানি। পাইকারি সেই বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে ডিসেম্বর থেকে। ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে প্রতি ইউনিট এখন ৬ টাকা ২০ পয়সা।
এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি না দেয়ার পরামর্শ দেয় আইএমএফ। ঋণ পেতে সরকার তা করছে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছিল গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম।
/এমএন
Leave a reply