১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ নিখোঁজ এবং উদ্ধার অভিযানের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী আলোচিত থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহা। চিয়াং রাই প্রদেশে অবস্থিত এ গুহা স্থানীয়দের মধ্যে নানা রকম ভৌতিক গল্প প্রচলিত রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা অলৌকিক কারণে কিশোররা গুহার ভেতরে আটকা পড়ে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, থাম লুয়াং গুহার মধ্য দিয়ে যে পানি প্রবাহিত হয় তা এক রাজকুমারীর রক্ত। আর গুহার পাশের পাহাড়ে তিনি ঘুমিয়ে আছেন। কারণ ওই পাহাড়ের আকৃতি অনেকটা ঘুমন্ত নারীর অবয়বের মতো।
স্থানীয়রা জানান, প্রাচীনকালে রাজকুমারী এই এলাকার একটি ছেলের প্রেমের পড়েন। মেলামেশার একপর্যায়ে রাজকুমারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ফলে তারা পালিয়ে এ গুহার ভেতরে আশ্রয় নেয়। পরে খাবারের সন্ধানে গুহা থেকে ছেলেটি বের হলে ধরা পড়েন রাজকুমারীর বাবার সেনাবাহিনীর হাতে। তারা ছেলেটিকে হত্যা করে। এদিকে প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে গুহার ভেতর আত্মহত্যা করেন রাজকুমারী। এরপর থেকে রাজকুমারীর আত্মা গুহাটিকে আগলে রেখেছে।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রাজকুমারীর আত্মাকে দেখতে পাই না। তবে তিনি আমাদের দেখতে পান। আমরা ওই জায়গাকে অনেক সম্মান করি। ওই শিক্ষার্থী বিশ্বাস করেন, রাজকুমারীর আত্মা ছেলেদের ভেতরে আটকে রেখেছিলো।
কৈটো বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতাত্ত্বিক ইডোয়ার্ড সিয়ানি বলেন, থাইল্যান্ডের গুহাগুলো একটি বিশেষ ধরনের শক্তি ধারণ করে। গুহাগুলোতে অনেক সন্ন্যাসী ধ্যান করেছেন। যার কারণে অনেকের কাছে এগুলো তীর্থস্থানের মতো। তিনি বলেন, অনেক গুহার ভেতর মন্দির খুঁজে পাওয়া গেছে।
Leave a reply