শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির ‘ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশে’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এবং সভাপতিত্ব করার কথা ছিল স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের। তবে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্হায়ী কমিটি সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
এদিকে, রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ সমাবেশের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। এর আগে, সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, মাঠ বরাদ্দের জন্য বিএনপির কোনো আবেদন তারা পায়নি।
শুক্রবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০.১২.২০২২ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজনের জন্য গোলাপবাগ মাঠ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য সম্মতি পাওয়া গেছে।
এর আগে, ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের গণমাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে বলেন, গোলাপবাগ খেলার মাঠের উন্নয়নে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (মেগা)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গোলাপবাগ খেলার মাঠে সীমানা প্রাচীর ও বেষ্টনী, প্যাভিলিয়ন, ড্রেসিং রুম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, নর্দমা, হাঁটার পথ, পাঠাগার ভবন ও বাজার (মার্কেট বিল্ডিং) ইত্যাদি অনুষঙ্গের উন্নয়নসহ এ মাঠকে শুধু খেলাধুলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, মাঠের উন্নয়নে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যা প্রায় শেষের পথে। শিগগিরই এই মাঠ উদ্বোধনে তারিখ নির্ধারণ করার পর্যায়ে রয়েছে। সুতরাং প্রকল্পের এই পর্যায়ে গোলাপবাগ খেলার মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশ আয়োজন করা হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply