ঠাকুরগাঁওয়ে সার সংকটের অভিযোগ, বিপাকে কৃষক

|

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে সরবরাহ কম ও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। চাহিদা অনুযায়ী সার না পাওয়া ও হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, আমন তোলার পর চলতি শীত মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা অনেকেই গম, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব আবাদের জন্য জমিতে প্রথম চাষ দেয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত ৩ দফা সার প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু হঠাৎ করে সার সংকট ও কিছু জায়গায় দাম বাড়তি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা দোকানে কোথাও চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইউরিয়া ও টিএসপি ১১০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ এবং এমওপি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রির করা কথা। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনেকেই বেশি দামে বিক্রি করছেন। কোনো কোনো জায়গায় টাকা দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সঠিক সময়ে ক্ষেতে সার দিতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকরা।

এদিকে খুচরা পর্যায়ের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ডিলার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সরকার নির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সরবরাহ বেড়ে যাবে এবং সমস্যা সমাধান হবে।

কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসে চাহিদা অনুযায়ী সার মজুদ রয়েছে এবং এই মুহূর্তে সারের সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কেউ যেন বেশি দামে সার বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় চলতি মাসে ইউরিয়া ৬৫ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে প্রাপ্তি হয়েছে ৪০ হাজার ৪১৭ মেট্রিক টন; টিএসপি ২০ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টনের বিপরীতে ১১ হাজার ৯৬৮ মেট্রিক টন, ডিএপি ৩৬ হাজার ৫০৬ মেট্রিক টনের বিপরীতে ২৬ হাজার ৬৬৮ মেট্রিক টন এবং এমওপি ৩৯ হাজার ৫৮৯ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে প্রাপ্তি হয়েছে মাত্র ১২ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply