ব্রিটেনে অন্তত ৮ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে

|

ছবি: সংগৃহীত।

পুষ্টিহীনতার শঙ্কায় রয়েছে ব্রিটেনের অন্তত ৮ লাখ শিশু। চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ব্রিটিশরা এখন সন্তানের খাওয়ার খরচ যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মুখে তুলে দিচ্ছেন সস্তা ও পুষ্টিহীন খাবার। খবর এপির।

মূলত, করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটিশদের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়েছে বহুগুণে। ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি দেখেছে দেশটি। গ্যাস-বিদ্যুতের দামও এখন আকাশচুম্বী। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সামর্থ্যবান অনেক পরিবারই এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। আর এই দারিদ্র্য এতোটাই তীব্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার যোগান দেয়াই এখন পরিবারগুলোর জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

অবশ্য শিশুদের পুষ্টির এ চাহিদা মেটানোর জন্য বর্তমানে ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে সরকারি উদ্যোগে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে দুপুরের খাবার দেয়া হয়। এছাড়া এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তালিকাভুক্ত নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুরাও বিনামূল্যে খাবার পায়। তবে ৮০ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর দেশটিতে এই সুবিধা পাওয়া শিশুর সংখ্যা যথেষ্ট নয় বলে দাবি অনেকের।

এনিয়ে হিলস্টোন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেসন কিং বলেন, ২৭ বছর ধরে চাকরি করছি। আগে এখানে কোনো ফুড ব্যাংকই ছিল না। কিন্তু কোভিডের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সন্তানদের খাবারের জন্য ফুড ব্যাংক ভাউচার পেতে অনেকে সাহায্যের আবেদন করছেন। আমরাও চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব সহায়তা করার।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের লাঞ্চ বক্স এখন আর আগের মতো নেই। খাবারের পরিমাণও কমে গেছে। অনেকেই মুখ ফুটে সাহায্য চান না।

ব্রিটেনের ফুড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এনা টেইলর বলেন, ইংল্যান্ডে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এমন ৮ লাখ শিশু রয়েছে যারা স্কুলে বিনামূল্যে খাবার পায় না। এই শিশুদের পরিবার খাবারের জন্য স্কুলকে অর্থ দিতেও পারে না। ফলে অনেকে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসে। স্কুলের খাবারের তুলনায় এসব খাবারের পুষ্টিমান খুবই নিম্নমানের।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্রিটেনজুড়ে স্কুলের প্রত্যেক শিশুকে বিনামূল্যে খাবার দেয়ার দাবি উঠেছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply