বিশ্বের যেকোনো ফুটবল ম্যাচে রেফারিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাত ঘড়ি। এবার কাতার বিশ্বকাপে সেই ঘড়িতেও ব্যবহার হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। খেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেফারি পেতে পারেন তাতে। ঘড়িটির মূল্যও আকাশছোঁয়া।
এবারের বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন অফিশিয়াল ম্যাচ পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি । যার মধ্যে রয়েছেন ৬ জন নারী রেফারিও। কাতার বিশ্বকাপে প্রত্যেক রেফারিকেই দেয়া হয়েছে এক বিশেষ ধরনের ঘড়ি। ১৯৮০ সাল থেকে রেফারিদের ঘড়ি সরবরাহ করে আসছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান হাবলট।
চলতি বিশ্বকাপেও ফিফার কাছ থেকে সেই দায়িত্ব পান তারা। বর্তমানে বাজারে যেসব স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়, তার থেকেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে এই ঘড়িতে। খেলা চলাকালীন সময় প্রয়োজনীয় যেসব তথ্য দরকার, সবই রেফারিরা পেয়ে যান এই ঘড়ির মাধ্যমে।
অত্যাধুনিক এই ঘড়ির দাম আকাশচুম্বি। বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা। ঘড়িটি ৪৪ মিমি ডায়াল এবং কালো টাইটানিয়ামের। বেল্টে রয়েছে কাতারের পতাকা আঁকা। তবে যেকোনো রেফারি তার পছন্দ মতো অংশগ্রহণকারী ৩২ দেশের মধ্যে যেকোনো একটি দেশের পতাকা আঁকাতে পারবেন।
ঘড়িটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চিপ, যার মধ্যে তথ্য আসতে থাকে প্রতি মূহুর্তে। বল গোল লাইন পার করলে, অফসাইড হলে বা ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারিরা কোনো নির্দেশ দিতে চাইলে সাথে সাথে কেঁপে ওঠে ঘড়িটি। আর সাথে সাথেই সংকেত পেয়ে যান রেফারি। এছাড়া কোনো ফুটবলারের সম্পর্কে তথ্যের প্রয়োজন হলে সেই তথ্যও জানতে পারবেন এই ঘড়ির মাধ্যমে।
বিশ্বকাপে রেফারিদের জন্য তৈরি করা ঘড়ি উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে ভিভিআইপি অথিতিদেরকেও। মোট এক হাজার ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে এবার। প্রাক্তন ফুটবলার পেলে, লুইস ফিগো, মার্সেল দেসাইলি এবং ফ্রান্স তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও পেয়েছেন এই ঘড়ি। তবে সাধারণ মানুষের জন্য এখনও তা বাজারে আনা হয়নি।
/এমএন
Leave a reply