বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে যা জানালো র‍্যাব

|

আত্মহত্যা করেছেন বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ। তাকে কেউ হত্যা করেনি। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় র‍্যাব। বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪ নভেম্বর রাতে সুলতানা কামাল সেতুর উপর থেকে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফারদিন। ব্যাক্তিগত কিছু কারণ এবং শিক্ষাজীবন নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থেকে এটা হতে পারে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) র‍্যাবের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফারদিন ৪ নভেম্বর বিকেলে পরীক্ষার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে বিকেল ৫টার দিকে সাইন্সল্যাবের মোড়ে পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে ঘোরাঘুরি করেন। এরপর রাত ৮টার দিকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়ও ঘোরাঘুরি এবং রাত ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজের দিকে ঘোরাঘুরি করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ফারদিন কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা, বাবু বাজার, জনসন রোড এবং পুরান ঢাকা এলাকায় তার বিচরণ করছিলো।

আত্মহত্যার ক্লু হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন সিসিটিভির সময় অনুযায়ী রাত ২টা ৩ মিনিটে ফারদিন যাত্রাবাড়ি থেকে একটি লেগুনায় ওঠে। এরপর সেখান থেকে রাত ২টা ২০ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের পাশে তারাবোর সাইডে তিনি লেগুনা থেকে নেমে যান।

তিনি বলেন, লেগুনার ড্রাইভারের সাথে আমরা কথা বলেছি। লেগুনার চালক জানিয়েছেন ফারদিন অন্যান্য সবার মতো ভাড়া দিয়ে স্বাভাবিকভাবে নেমে চলে যান। পরবর্তীতে রাত ২টা ২৬ মিনিটে ব্রিজের মাঝামাঝি অবস্থান করছিলেন পরশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা অত্র এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ফারদিন রাত ২টা ৩৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডে সুলতানা কামাল ব্রিজের রেলিং ক্রস করে ঝাঁপ দেয়ার জন্য ব্রিজের ওপর প্রান্তে যান। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী ফারদিন সেচ্ছায় রাত ২টা ৩৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন। এছাড়া ফুটেজে ঝাঁপ দেয়ার পর নদীতে পানির ঢেউ দেখা যায়। সর্বোপরী এসব থেকে প্রতীয়মান হয় ফারদিন নিজ ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply