অগ্রগামিতা বহাল রেখে বিরতিতে ফ্রান্স

|

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমার্ধের শেষ কয়েক মিনিতে ফরাসি রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল মরক্কো। একের পর এক আক্রমণে হুগো লরিসদের প্রাণপণে রক্ষণ সামলাতে বাধ্য করেও গোলের দেখা পায়নি হাকিম জিয়েচরা। তাই ম্যাচের ৫ মিনিটে থিও হার্নান্দেজের ওভারহেড কিকে পাওয়া গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে গিয়েছে ফ্রান্স। সমতা আনার অনেক চেষ্টা করেও ভারানে-কোনাতেদের রক্ষণব্যুহ ভাঙতে পারেনি মরক্কো।

কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এসে প্রথমবারের মতো পিছিয়ে পড়েছে মরক্কো। এর আগে, পুরো আসরজুড়ে মাত্র একটি গোল হজম করলেও সেটি ছিল আত্মঘাতী গোল। সেই হিসেবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে সূচনাই করেছে মরক্কো।

ফ্রান্সের বিপক্ষে অঘটনের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নামে ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের ৫ মিনিটেই ডানপ্রান্ত থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে বল বাড়ান আতোয়ান গ্রিজমান। তবে তার সামনে বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডার থাকায় বল চলে যায় ডি বক্সের বাম পাশে অরক্ষিত থাকা থিও হার্নান্দেজের সামনে। অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে দুরূহ কোণ থেকে মরোক্কান গোলরক্ষক বোনোকে পরাস্ত করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন থিও হার্নান্দেজ।

পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে একের পর আক্রমণ রচনা করে মরক্কো। সেই সাথে, কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের দারুণ একটি সুযোগও পেয়েছিল ফ্রান্স। অরেলিয়া শুয়ামেনির শট গোললাইন থেকে প্রতিহত হলে ডি বক্সে ফাকায় দাঁড়ানো অলিভিয়ের জিরু চলতি বলেই নেন শট। ফাঁকা গোলপোস্ট মিস করে জিরুর সেই শট। এছাড়া আরেকটি আক্রমণ থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে মরক্কোর গোলবার কাঁপিয়ে দেন চলতি আসরে ৪ গোল করা জিরু।

তবে ম্যাচে ফিরে আসার উপলক্ষ্য আরও একবার সৃষ্টি করেছিল মরক্কো। কিন্তু প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ফ্রান্সের ডি বক্সে যাওয়াদ এল ইয়ামিকের বাইসাইকেল কিক ডানপাশে ঝাঁপিয়ে গোলবারের সহায়তায় রক্ষা করেন হুগো লরিস। সেই যাত্রায় আর কোনো বিপদ না হলে এক গোলের অগ্রগামিতা ধরে রেখেই বিরতিতে গেছে ফ্রান্স।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply