আর্জেন্টিনার সারোডিনো শহরে উড়ানো হয়েছে ১৮ মিটার উচ্চতার লিওনেল মেসির একটি জার্সি। এছাড়া বুয়েন্স আয়ার্সের ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে তৈরি হয়েছে এলএমটেনের বেশ কিছু ম্যুরালও। মূলত শুভকামনা জানাতেই এমন কাণ্ড শহরবাসীর। তাদের বিশ্বাস, মেসির হাত ধরেই কাটবে ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ না পাওয়ার আক্ষেপ।
আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরেই কেটেছে ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ছেলেবেলা। আর সেখানেই ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। কেননা শহরবাসীর আশা, ম্যারাডোনার পর আরো একবার মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপের ট্রফি উচিয়ে ধরার আনন্দে মাতবেন তারা।
রোজারিও থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরের একটি শহর সারোডিনো। যেখানে বসবাস প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের। মেসিকে শুভকামনা জানাতে দীর্ঘ ১৮ মিটার উচ্চতার একটি জার্সি উড়িয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। জার্সিটি ওড়ার সাথে সাথেই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেখানকার মানুষ।
হুয়ান পিও ড্রোভেটা, সভাপতি, সারোডিনো বলেন, আমরা জার্সিটি তৈরি করেছি আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে। ঠিক যেমনটা মেসি ও বাকি খেলোয়াড়রা ভালোবাসা দিয়ে দেশের জন্য খেলছে। আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে আর এটি খুব গর্বের বিষয়।
শুধু জার্সি উড়িয়েই ক্ষ্যান্ত হননি মেসি ভক্তরা। রোজারিও শহরে তৈরি করা হয়েছে মেসির ম্যুরালও। মূলত সেখানেই প্রথমবারের মত ফুটবলের হাতে খড়ি নিয়েছেন এলএমটেন।
আলেজান্দ্রা ফ্রেরেয়া, মেসির সাবেক প্রতিবশী বলেন, সত্যি বলতে এই পৃথিবীর যা কিছু উত্তম সবই মেসির প্রাপ্য। কেননা সে একজন ভালো মানুষ। জন্মগতভাবেই মেসি নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন। আর সে আমাদের খুশি করবেই। ইতোমধ্যেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছি।
আর্জেন্টিনার মানুষের বিশ্বাস, এবার কাপ আসবে তাদের ঘরেই। আক্ষেপ ঘুচবে ৩৬ বছরের অপেক্ষার।
/আরআইএম
Leave a reply