স্বপ্নের ফাইনালে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার চুড়ান্ত লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। দুই দলের এই লড়াইয়ের মধ্যেও চলবে দারুন কিছু দ্বৈরথ। যা বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্যে। নিজেদের জার্সিতে তৃতীয় স্টার বসাতে বড় ভূমিকা পালন করবেন আর্জেন্টিনার মেসি, এনজো ফার্নান্দেস, মলিনা অন্যদিকে ফ্রান্সের এমবাপ্পে, শুয়ামেনি ও গ্রিজমান। দুই দলের এই ত্রয়িরাই গড়ে দিবেন ম্যাচের ফলাফল।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ লড়াইটা এগারো জনের বিপক্ষে এগারো জনের। সেই লড়াইয়ে কে হবেন জয়ী তা সময়ই বলে দিবে। তবে দুই দলের এই মহারণে নিজেদের জার্সিতে তৃতীয় স্টার বসাতে কিছু দ্বৈরথ পালন করতে পারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা।
কিলিয়ান এমবাপ্পে বনাম নাহুয়েল মোলিনা:
ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে তুলতে ফ্রান্সের ট্রাম্পকার্ড ছিলেন এমবাপ্পে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড আছেন গোল্ডেন বুটের দৌড়েও। ছয় ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল। এমবাপ্পের গতি কাপন ধরাতে পারে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। তাকে থামানোর কাজটা করতে হবে আর্জেন্টিনার রাইট ব্যাক মোলিনাকে। আতলেতিকো মাদ্রিদে নিজের প্রথম মৌসুমে কিছুটা খারাপ কাটলেও বিশ্ব মঞ্চে নিজের সামর্থ্য ঠিকই দেখাচ্ছেন তিনি।
লিওনেল মেসি বনাম অহেলিয়া শুয়ামেনি :
‘বক্স-টু-বক্স’ মিডফিল্ডারদের মধ্যে শুয়ামেনিকে ধরা হয় সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন হিসেবে।
তার কাঁধে গুরুদায়িত্ব, থামাতে হবে মেসিকে। ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল আর তিন অবদান রেখে চার ম্যাচে হয়েছেন সেরা। বিশ্বকাপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মত গোল্ডেন বল জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন এলএমটেন। ফ্রান্সের শিরোপা ধরে রাখার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ লিওনেল মেসি।
এনজো ফার্নান্দেজ বনাম অঁতোয়ান গ্রিজমান:
আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্রিজমান কাতার আসরে ফ্লোটিং মিডফিল্ডার’ হিসেবে যে ভূমিকা পালন করছেন তা নজর কেড়েছে সবার। ফ্রান্সের হার্ট যেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ঠিক একই কাজ এনজো ফার্নান্দেসের। আসরে দারুণ সময় কাটছে তার।
নিজ দলের চীনের প্রাচীর হতে হবে মার্টিনেজ আর হুগো লরিসকে। শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়ে কে হবেন হিরো? অপেক্ষা আর কিছু সময়ের।
/আরআইএম
Leave a reply