হ্যাজার্ডরা যেন আফসোসই বাড়ালেন

|

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বেলজিয়াম। ফাইনালের এত কাছে গিয়ে বাদ পড়ার পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি অনেকটা শোক ভুলার চেষ্টার মতো। কেউ কেউ এই ম্যাচটিকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘নিষ্ঠুর’ বলে মনে করেন। কারো কাছে সান্ত্বনার ম্যাচ। ফিফার কাছে নিয়ম রক্ষার। এই ম্যাচে জয় পেতে চেয়েছিল দু’দলই। শেষ হাসি হাসলো বেলজিয়ামই। ইংলিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্যের গৌরব অর্জন করলো তারা।

তৃতীয় হওয়ায় প্রায় ২৪ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি পাবে তারা। অন্যদিকে, চতুর্থ হওয়া ইংল্যান্ড পাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের মতো।

সেন্ট পিটার্সবার্গের মাঠে ম্যাচের ৪ মিনিটে নাসের শ্যাডলির অ্যাসিস্ট থেকে নিশানাভেদ করেন থমাস মিউনিয়ার। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় ইংল্যান্ড। সমতায়ও ফিরতে পারত থ্রি-লায়নসরা। ২৩ ও ২৪ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় তারা। তবে তা হেলায় নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেন।

তবে, বেলজিয়াম আক্রমণের ধারা থামায়নি। ৩৫ মিনিটে সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পায়নি তারা। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে খেলা এগিয়ে চললেও কেউই আর গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণে বেলজিয়াম শিবিরে আতঙ্ক ছড়ায় ইংলিশরা। তবে, একাধিক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। আর, ফুটবলে জয় পেতে শুধু ভালো খেললেই হয় না, কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও পেতে হয়। আজ যেটি একেবারেই পায়নি ইংল্যান্ড। না হলে ৬৮ মিনিটে নিশ্চিত গোলটি মিস করে তারা? কাইরান ট্রিপারের অ্যাসিস্ট থেকে গোলমুখে বল ঠেলে দিয়েছিলেন এরিক ডায়ার। থিবো কর্তোয়াও পরাস্ত হয়েছিলেন। বল যখন গোললাইন অতিক্রম করবে ঠিক তখনই বেলজিয়ামের টবি অ্যালডারভ্যারল্ড তা বিস্ময়করভাবে প্রতিহত করেন।

৭০ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক গোল মিস করেছেন হ্যারি কেইন বাহিনী। ৮২ জাদু দেখালেন ডি ব্রুইন-হ্যাজার্ড জুটি। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটেন ব্রুইন। কয়েকজনকে কাটিয়ে তা দেন হ্যাজার্ডকে। তা থেকে ঠিকানায় বল পাঠাতে মোটেও ভুল করেননি চেলসি ফরোয়ার্ড। সেই সাথে যেন আফসোসটাও আরেকটু বাড়িয়ে তুললেন! ফাইনালে যে তাদেরই প্রত্যাশা করেছিল অনেক ফুটবলপ্রেমী।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply