দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রিসমাস। খ্রিষ্টানদের বড়দিন উপলক্ষে তাই দেশে দেশে চলছে ঐতিহ্যবাহী নানান আয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক কয়েকটি দেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে।
আসন্ন ক্রিসমাসের বার্তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনে করিয়ে দেন ফিনল্যান্ডের সান্তারা। ক্রিসমাসের আগের কিছুদিন তারা ব্যস্ত সময় পার করেন শিশুদের উপহার পৌঁছে দেয়া আর চিঠির উত্তর দিতে। পুরোদিনে যেন একটু বিশ্রামের সুযোগ নেই। উপহার প্যাকিং করা, চিঠির উত্তর লেখা- এ নিয়েই দিন কেটে যায় দিন।
সান্তাক্লজের একেবারেই ভিন্নধর্মী ঐতিহ্য পালনের রীতি রয়েছে ব্রাজিলে। উৎসবের আনন্দ সবার মাঝে পৌঁছে দিতে কাজ করেন তারা। নৌপথে বিশাল বহর নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায় একদল সান্তা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে তুলে দেয় বড়দিনের উপহার। প্রায় দুই যুগ ধরে চলছে তাদের এই রীতি।
শিশুদের মুখে হাসি দেখার চেয়ে আনন্দ আর কিছুতেই নেই। এসব শিশুরা কখনোই ক্রিসমাস উপলক্ষে কোনো উপহার পায় না। ভালো পোশাক, খেলনা কিছুই নেই তাদের। উপহারগুলো পাবার পর তারা যে হাসি দেয়, তা অমূল্য।
ক্রিসমাস মানেই মানবতার দিন। তাই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সহায়তায় তহবিল গঠনে ইতালির রাস্তায় বাইসাইকেলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে কয়েকশ সান্তা। ইতালি ছাড়াও লেবানন, মেক্সিকো, বুদাপেস্টসহ অনেক দেশে মানবতার সেবায় নানা আয়োজনে অংশ নিতে দেখা যায় অসংখ্য সাধারণ মানুষকে।
গাধার পিঠে চড়ে সান্তাদের দৌড় প্রতিযোগিতার দৃশ্য দেখা যায় ইউরোপের দেশ বসনিয়ার। ঐতিহ্য অনুযায়ী, সবার আগে ক্রস লাইন স্পর্শ করা সান্তাই আগামী একবছরের জন্য পায় সম্মানসূচক খেতাব আর ট্রফি।
এছাড়া, সান্তা রূপে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্রান্সের পরিবেশকর্মীরা। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্বনেতাদের বার্তা দিতেই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের রূপ বেছে নিয়েছেন তারা।
এএআর/
Leave a reply