আ. লীগের সম্মেলন: ওবায়দুল কাদেরের হ্যাটট্রিক নাকি নতুন কেউ?

|

তাওহীদ মিথুন:

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা আবারও সভাপতি নির্বাচিত হবেন এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রয়েছে আগ্রহ-আলোচনা।

কেউ বলছেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের হ্যাটট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপরই নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তাদের মতে, সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই থাকছেন তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে তিনি (শেখ হাসিনা) অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। তিনি না চাইলেও কাউন্সিলররা তাকে ছাড়বেন না। এটা হলো বাস্তবতা।

এবারের কমিটিতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ আসছেন কিনা যমুনা নিউজকে সে বিষয়টিও অবহিত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে শেখ রেহানা যেমন দলকে সামলিয়েছেন, নেত্রী যখন কারাবন্দি ছিলেন। নেত্রীর যেটা ইচ্ছে, তারা কেউ যদি সাংগঠনিক কাজ সক্রিয় হতে চান, তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে তখন বিবেচনা করা হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় কোনো পরিবর্তনের আভাস নেই। দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ থেকে পাঁচ-সাতজন নেতা বাদ পড়তে পারেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০৪১ সালকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবারের কাউন্সিল। জাতীয় কাউন্সিল মানে নতুনত্ব কিছু, চমক তো অবশ্যই থাকে। কাজেই কী ধরনের নেতৃত্ব আসবে, তা ২৪ ডিসেম্বরই বলা যাবে।

এরই মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বছর খানেক পরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমেই এ নির্বাচন পাড়ি দিতে চায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা।

দলটির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কমিটির পরিধি ৮১ সদস্য বিশিষ্টই থাকছেই। আর গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা-উপধারায় কিছু শব্দচয়ন এবং সংশোধনের বিষয় আছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে। ফলে অনেক আয়োজনেই কাটছাঁট হচ্ছে। এবারের সম্মেলনেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ পাচ্ছে। রাজনীতিবিদ ছাড়াও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply