জ্যামাইকা টেস্টে বোলিংটা ভালো হলেও ব্যাটিংয়ের সেই বেহাল দশাই। যে কারণে অ্যান্টিগার মতোই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হলো সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলকে।
দুই ইনিংসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেট তুলে নেয়ার কৃতিত্ব বোলারদের দিতেই হচ্ছে। তার চেয়েও বড় সাফল্য প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান করা ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে অলআউট করা। ১ উইকেটে ১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ক্যারিবীয়রা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ক্যারিয়ারে ১৮ তম বার ৫ উইকেট শিকার করলে ধস নামে স্বাগতিকদের ইনিংসে। ৩৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে, প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৫ রান। ব্যাটিং বাস্তবতা বিচারে রীতিমতো অসম্ভব। এর আগে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ফলে, ক্যারিবীয় পেস আক্রমণের বিপক্ষে তারা অভিনব কিছু ঘটিয়ে ফেলবে এমনটা আশা করেনি কেউ।
সাকিব-তামিমরা যদি নিজেদের সেরা ব্যাটিং করতে পারতেন তাহলেও দায় মুক্তি ঘটতো। কিন্তু সেটিও হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাটিং ভুলে যাওয়া টাইগার ব্যাটসম্যানরা আশা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। সাকিব, মুমিনুল, মুশফিক, লিটন ও তাইজুলরা একটু বেশি সময় ক্রিজে ছিলেন, এই যা। তাতে চতুর্থ ইনিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৮ রান। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৩৩ ও ৩১ রান করে করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
আগের ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ৬ উইকেট। এছাড়া রোস্টন চেজ ২ উইকেট এবং পাওয়েল ও গ্যাবব্রিয়েল নেন ১ টি করে উইকেট।
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস- ১৪৯/১০ (তামিম ৪৭, সাকিব ৩২, মুশফিক ২৪, লিটন ১২, তাইজুল ১৮, মিরাজ ৩; হোল্ডার ৫/৪৪)।
দ্বিতীয় ইনিংস- ১৬৮/১০ (সাকিব ৫৪, লিটন ৩৩, মুশফিক ৩১; হোল্ডার ৬/৫৯, চেজ ২/২০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ম ইনিংস- ৩৫৪/১০ (ব্রাথওয়েট ১১০, হিতমার ৮৬; মিরাজ ৫/৯৩, আবু জায়েদ ৩/৩৮)।
দ্বিতীয় ইনিংস- ১২৯/১০ (চেজ ৩২, পাওয়েল ১৮, হিতমার ১৮ ; সাকিব ৬/৩৩)।
ম্যাচ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০তে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
সিরিজ সেরা: জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
যমুনা অনলাইন: টিএফ।
Leave a reply