নারী শিক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে তালেবানকে চড়া মূল্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

|

নারী শিক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে চড়া মূল্য দিতে হবে তালেবান সরকারকে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিত্রদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নেয়া হবে পদক্ষেপ। শিক্ষার অধিকারের দাবিতে রাজধানী কাবুলে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করেন আফগান মেয়েরা। আন্দোলনের দায়ে আটক করা হয় ৫ নারীকে। গ্রেফতার করা হয় ৩ সাংবাদিককেও। খবর রয়টার্সের।

অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, তালেবানের এই সিদ্ধান্তে কেবল আমরা নই, মুসলিম বিশ্বসহ সবাই নিন্দা জানাচ্ছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অস্বীকার করে, অবদানের সুযোগ না দিয়ে কোনো জাতি সাফল্য পাবে না। এই ইস্যুতে অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলছি। এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্পর্ক গড়বে না তাদের সাথে।

স্কুল বন্ধ হয়েছে আরও আগেই। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় তাখার প্রদেশের বেসরকারি কোচিং সেন্টারেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলো কিশোরীরা। তবে বুধবার সেখান থেকেও বের করে দেয়া হয় মেয়েদের। তালেবানের বিরুদ্ধে শারীরিক আঘাতের অভিযোগও করে তারা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া বন্ধের ধারাবাহিকতায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারও বন্ধ হয়েছে আফগান মেয়েদের জন্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে জারি হয় কঠোর নির্দেশনা।

তালেবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নামে অনেকে। দু’দিন ধরে ছোট ছোট মিছিল হয়েছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনে যোগ দেয় প্রায় ৫০ জনের একটি দল। বিশ্ববিদ্যালয় চালু ও শিক্ষার অধিকারের দাবিতে শ্লোগান দেন তারা। ধরপাকড় চালায় তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনী।

তালেবান প্রশাসনের পদক্ষেপে নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, সিদ্ধান্ত বদল না করলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply