মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বাগতিকরা। ওপেনার জাকির হাসান ক্রিজের একপাশ আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিল ছিল নিয়মিত। মাত্র ৭০ রানেই একে একে ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
দলীয় ১৩ রানের মাথায় রবিচন্দন অশ্বিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ইনিংসে ৭ রান করা বাঁহাতি ওপেনার আজ যোগ করেন মাত্র ৬ রান। তিন নম্বরে নামা মুমিনুল হক আগের ম্যাচে ৮৪ করলেও আজ ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পান্তের তালুবন্দি হন তিনি। পরে সাকিব এসে কিছুটা আশা দেখালেও ব্যক্তিগত ১৩ রানে উনাদকাটের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শুভমন গিলের হাতে। সাকিবের পর লিটল মাস্টার মুশফিকুর রহিমও করলেন হতাশ। ৯ রান করে অক্ষর প্যাটেলের এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা নবাগত জাকির হাসান ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন। অপর প্রান্তে তার সঙ্গী হয়েছেন লিটন দাস। যদিও সাত বল খেলে এখনো রানের খাতা খুলে পারেননি তিনি।
লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ভারতে চেয়ে এখনো ১৬ রান পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেই রান শোধ করে লিড নিতে হবে স্বাগতিকদের। অন্তত ২৫০-৩০০ রান না করতে পারলে ম্যাচ হারের সম্ভবনা রয়েছে সাকিব-জাকিরদের। এতে সিরিজ হারের সাথে থেকে যাচ্ছে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কাও।
এদিকে লাঞ্চ বিরতির আগে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পেসার-স্পিনার উভয়েই দারুণ বোলিং করেছেন। রবিচন্দন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ সিরাজ ও উনাদকাট যাদব প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত অলআউট হয় ৩১৪ রানে। সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৩ রানের বড় ইনিংস খেলেন রিশভ পান্ত এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন শ্রেয়াস লেয়ার।
অন্যদিকে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্পিনার সাকিব ও তাইজুল। তারা দুইজনেই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট নেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
প্রসঙ্গত, এর আগে চট্টগ্রাম টেস্ট বড় ব্যবধানে হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এএআর/
Leave a reply