আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা তৃতীয় বারের মতো দায়িত্ব পেলেন ওবায়দুল কাদের। দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দলটির সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন সেটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ ছিল। কারণ এই মুহূর্তে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। নির্বাচনী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাদেরের ওপরই আস্থা রাখলো আওয়ামী লীগ। ২০১৬ থেকে বৃহত্তম রাজনৈতিক এ দলটির সেকেন্ড ইন কমান্ডের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মৃত্যুকেও জয় করে ফিরেছেন। শক্ত হাতে সামলেছেন দল। ২২-তম সম্মেলনে সে হাতেই তুলে দেয়া হলো গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বায়িত্ব।
রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদেরের শুরুটা ছাত্রজীবনে। ছেষট্টির ৬ দফা আর ঊনসত্তরের গণআন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। মুজিব বাহিনীর কোম্পানিগঞ্জ থানা শাখার অধিনায়ক হিসেবে অংশ নেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে। নোয়াখালী-৫ আসন থেকে চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এই নেতা।
দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এ নেতা একাধিক মেয়াদ ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। বর্তমানে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কয়েকবার কারাবরণ করছেন। এসেছে চড়াই উৎরাই। তারপরেও বঙ্গন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকেছেন ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব- কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচিত করা হয়। বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের এই দ্বিতীয় অধিবেশন উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনটি শেষ হয় দুপুর একটার দিকে।
সকাল সাড়ে ১০ টার কিছু আগেই সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানান কাউন্সিলর-ডেলিগেটস ও নেতাকর্মীরা। পরে, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় বৃহৎ ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’। উদ্বোধনের পর শুরু হয় সম্মেলনের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা। পরে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
Leave a reply