নরসিংদীতে নিখোঁজের ৮ দিন পর উদ্ধার হলো শিশুর লাশ

|

আট দিন পর মিলেছে লাশ। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, নরসিংদী:

নরসিংদীর বেলাবতে নিখোঁজের ৮ দিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মেরাতলীকান্দা গ্রামের একটি ঝোঁপে শিশুটির লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। উদ্ধার হওয়া শিশুটি উপজেলার মেরাতলীকান্দা গ্রামের তার নানা মাসুদ মিয়ার বাড়িতে থাকতো। শিশুটির বাব-মা টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানা গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিলো। তারপর অনেক স্থানেই খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে একটি ঘাস বাগানের কাছে চোখ উপড়ানো অবস্থায় শিশুটির লাশ খুঁজে পান স্থানীয়রা। এ সময় লাশের একটু দুরেই পড়ে ছিল শিশুটির পরনের হাফপ্যান্ট।

নিহত শিশুর পরিবারের দাবি, কেউ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এরইমধ্যে, বেলাব থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বেলাব থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

স্থানীয়রা আরও জানান, গত সোমবার দুপুরে শিশুটিকে তার নানার বাড়ির একটু সামনে মেরাতলীকান্দা সড়কের পাশে একটি কালভার্টের পাশে বসে কান্না করতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। এর কিছুক্ষণ পর খবর ছড়ায় যে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছেনা। নিখোঁজের ৮ দিন পর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।

নিহত শিশুর নানা মাসুদ মিয়া বলেন,গত সোমবার দিন দুপুরে আমার নাতনি নিখোঁজ হয়। থানায় গিয়েছি জিডি করতে। কিন্তু পুলিশ বলে আড়িয়াল খাঁ নদে খোঁজ করতে। তাই পরে আর জিডি করা হয়নি। আমার ধারণা, আমার নাতনীকে কেউ ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

নিহতের বাবা সুহেল মিয়া বলেন,আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমার মেয়েটা তার নানা-নানীর কাছেই থাকে। আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে নির্যাতন করে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

বেলাব থানার ওসি মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এলাকাবাসীর অনেকেই বলেছে যে, যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয় সেদিন তার পরনে কাপড় ছিল না। তাই, ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগটি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply