ফেডারেশনের প্রতি অসম্মান নয়, এই লাথি দুর্নীতিকে; জাহিদের দাবি

|

বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কারে লাথি মেরে গত ক’দিন ধরে আলোচনায় আছেন বডি বিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। তার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটিজেনদের মাঝে। ফেডারেশনের প্রতি অসম্মান নয়, দুর্নীতির জবাবেই তার এমন আচরণ, দাবি করেছেন জাহিদ। অপেশাদার আচরণের কারণে এরইমধ্যে জাহিদকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ বডি বিল্ডার ফেডারেশন।

একজন পেশাদার বডিবিল্ডার হয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেন এমন অপেশাদার আচরণ করেছেন জাহিদ, যমুনা টিভিতে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল জাহিদের এই লাথি মারা নিয়ে। অনেকেই বলছে, পুরস্কার হিসেবে ব্লেন্ডার মেশিন পাওয়াটা পছন্দ করেননি তিনি। আবার অনেকে বলছে, প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া মেনে নিতে পারেননি জাহিদ।

তবে এসব অনুমিত বিষয়কে উড়িয়ে দিয়ে জাহিদ হাসান শুভ বলেছেন, পুরস্কার দামি নাকি কম দামি, সেটি মুখ্য বিষয় নয়। পুরস্কার যদি একটি কলমও নয়, একটি গোলাপ ফুলও হয়, সেটাও অনেক দামি। পুরস্কার তো পুরস্কারই। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে দুর্নীতি।

এত বছরের পুরনো ফেডারেশনের নেই কোনো স্কোরবোর্ড। কীসের ভিত্তিতে প্রতিযোগীদের মূল্যায়ণ করছে কর্তৃপক্ষ, তা নিয়েও সন্দিহান জাহিদ। জাহিদ বলেন, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিয়মানুযায়ী তাদের ডাকা হয় ট্যাগ নাম্বার দিয়ে। ১১ জন বিচারকের মোট স্কোর প্রধান বিচারক পাওয়ার পর ২১০ নম্বরকে আসতে বলেন। ২১০ জাহিদের ট্যাগ নম্বর। যেহেতু তাকে ডাকা হয়েছে সবার আগে, তিনি স্বভাবতই স্টেজে গিয়ে সালাম করে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতেই পোজ দিয়ে দাঁড়ান। কারণ, ‘ফার্স্ট কল’ মানেই চ্যাম্পিয়ন, সবার চেয়ে স্কোর বেশি। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়দেরও ট্যাগ নাম্বার দিয়ে ডাকা হয়। তার মানে, ফলাফল ততক্ষণে চলে এসেছে। তাদের আবার নিয়মানুযায়ী স্টেজ থেকে নিচে নেমে দাঁড়াতে হয়। তারপর ফার্স্ট কল দিয়ে ডাকা হলো তাকে, যিনি কিছুক্ষণ আগে দ্বিতীয় ডাকে উঠেছিলেন স্টেজে।

জাহিদ জানান, তিনি হয়তো পুরস্কারে লাথি মেরে ভালো কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেননি। কিন্তু পেশাদার বডি বিল্ডার ও চারবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেও এরকম দুর্নীতি হতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া চলে আসে। এই প্রতিক্রিয়া আসে আত্মসম্মানের জায়গা থেকেও।

জাহিদ হাসান শুভর ভাষায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, তার চ্যাম্পিয়নশিপ কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি মানতে পারছেন না, বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশনের দেয়া আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা। তার মতে, ফেডারেশনের নেই কোনো নীতিমালা, নেই পেশাদারিত্ব। অনেক প্রশ্ন আছে চারবার জাতীয় বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নের। তার ভাষায়, তার সাথে যে অন্যায় করেছে ফেডারেশন, সেটির শিকার যেন আর কাউকে হতে না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের নিবেদন জাহিদের।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply