ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা মৃত্যুর পর ফুটবল সম্রাট পেলে বলেছিলেন, একদিন আমরা নিশ্চয়ই এক সাথে ফুটবল খেলবো, ওই দূর আকাশে। নিজের শেষটা হয়তো তখনই দেখে ফেলেছিলেন পেলে। হয়তো বন্ধুকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন যে, আমি আসছি। বৃহস্পতিবার আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ফুটবলের রাজা। এতক্ষণে হয়তো শুরুই হয়ে গেছে দুই ফুটবল নক্ষত্রের পরম আকাঙ্ক্ষিত সেই স্বর্গীয় ম্যাচ!
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এতো দ্বৈরথের প্রথম সেতুবন্ধন হিসেবে এসেছিলেন পেলে-ম্যারাডোনাই। ফুটবলে সবচেয়ে কঠিনতম প্রতিপক্ষ হলেও সম্প্রীতির এক সুতোয় সবাইকে গেঁথেছিলেন তারা দুজনই! দুজন মিলে জিতেছেন চার চারটি বিশ্বকাপ।
দুই বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস নিলেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী পেলেও। তার পুরো নাম- এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ৩টি বিশ্বকাপ জেতার একমাত্র রেকর্ড আছে শুধু পেলেরই।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের মিনাস গ্যারিয়াস শহরে জন্ম পেলের। পুরো বিশ্বের কাছে তিনি পেলে নামেই বেশি পরিচিত। ব্রাজিলের হয়ে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ । ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের ইতিহাসটা তার একারই বানানো। ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১ হাজার ২৮৩টি। আর ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে করেছেন ৭৭টি গোল।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। মানুষ বাঁচে তার কর্মে, তার অর্জনে, তার প্রাপ্তিতে। আজ পেলে ও ম্যারাডোনা নেই, তবুও তারা আছেন কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে, তারা থাকবেন ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ে।
/আরআইএম
Leave a reply