মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে তানহা মাহমুদা (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ফেরদৌস হাসান সোহানকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানহা সদর উপজেলার কাগজীপাড়া এলাকার মহিউদ্দিনের কন্যা। তিনি তার স্বামী সোহানের সাথে একই উপজেলার এনায়েতনগরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এদিকে তানহাকে হত্যার অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বজনরা। জেলা শহরের সুপার মার্কেট থেকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মিছিল করে তারা।
স্বজনরা জানায়, প্রায় দুই বছর আগে মীরকাদিম এনায়েত নগরের ফেরদৌস হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় তানহার। তাদের মানহাফ নামে এক বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় দাম্পত্য কলহের জেরে তানহাকে নির্যাতন করে আসছিল সোহান। সর্বশেষ রোববার রাতে স্বজনরা তানহার মৃত্যু সংবাদ জানতে পারে পরিবারের সদস্যরা।
তানহার পরিবারের সদস্যদের দাবি করেন, তাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা নিহতের স্বামী সোহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তানহা নামের ওই গৃহবধূকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বামী সোহান। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করলে সোহান তানহার পরিবারকে ফোন দিয়ে মৃত্যুর খবর জানান। পরে স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে সোহানকে আটক করে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী ফেরদৌস হাসানকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারবেন তারা।
এএআর/
Leave a reply