৫ টাকার বিস্কুট না বলে খাওয়ায় শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

|

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর :

মাদারীপুরে মাত্র ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট না বলে খাওয়ায় ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দোকানির বিরুদ্ধে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের নাওহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিয়ন ফকির (৯) ওই গ্রামের দুলাল ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত দোকানি মান্নান খাঁ একই গ্রামের সুরাত খানের ছেলে।

স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাঁতিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে বন্ধু আমিনের সাথে বাড়ির পাশের দোকানে যায় ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিয়ন। দোকানি দোকানে না থাকায় দুই বন্ধু মিলে ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট নিয়ে খেতে শুরু করে। মুহূর্তেই দোকানি মান্নান খাঁ চলে আসলে, চুরির অপবাদ দিয়ে লিয়নকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মান্নানের বাড়িতে। সেখানে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে শিশুটির ওপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় কায়দায়
নির্যাতন। লিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন ওই দোকানি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মান্নান খাঁ।

লিয়নের ফুফা সবুজ হাওলাদার বলেন, একটি বিস্কুটের জন্য এমন নির্যাতন খুবই কষ্টদায়ক। দোকান থেকে মারতে মারতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার বাড়িতে। সেখানেও চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। এই ঘটনার কঠিন বিচার চাই।

শিশু লিয়ন ফকির জানায়, আমি আর আমার বন্ধু আমিন খা দু’জনে দুই প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে খাচ্ছিলাম। এ সময় দোকানদার এসে আমাকে রশি দিয়ে হাত বেঁধে কাঠের লাঠি দিয়ে অনেক মেরেছে। আমি অনেকবার মাফ চেয়েছি তবুও শোনেনি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। সামান্য একটি বিস্কুটের জন্য শিশুর ওপর নির্যাতন জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply