ভয়ঙ্কর মিসাইল জিরকনসহ আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা পুতিনের

|

আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই ফের আলোচনায় উঠে এসেছে হাইপারসনিক জিরকন নিউক্লিয়ার মিসাইল। নকশার ভিন্নতা আর কারিগরি প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এই মিসাইল। ভূমি বা যুদ্ধজাহাজ যেকোনো স্থান থেকেই প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। খবর রয়টার্সের।

পশ্চিমা শক্তির সাথে পাল্লা দিতে প্রায় এক দশক ধরে সামরিক সক্ষমতায় নানামুখী পরিবর্তন আনছে রাশিয়া। ৫ম প্রজন্মের জন্য উপযোগী এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে রুশ সমরভাণ্ডারে সবশেষ সংযোজন এই জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র। গতি এবং রাডার ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্যসব ক্রুজ মিসাইল থেকে আলাদা করেছে। শব্দের চেয়েও ৯ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন জিরকন দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। ধরা পড়বে না রাডারেও।

প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি প্রায় ৪০০ কেজি ওয়্যরহেড বহনে সক্ষম। ৩০০ কিলোটন ক্ষমতা সম্পন্ন পরমাণু বোমা বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। র‍্যামজেট ইঞ্জিনের কারণে উৎক্ষেপণের পরই খুব অল্প সময়েই প্রায় ৯০ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে জিরকন মিসাইল। ৱ

২০২১ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ চালায় রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিন ঘোষণা দেন ২০২২ সালেই এটি যোগ হবে সামরিক বাহিনীতে। তবে সেই ঘোষণারও প্রায় ১ বছর পর এটি মোতায়েন করা হলো আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply